প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে দুই দল একটি করে ম্যাচ জেতায় শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ম্যাচ জিতলেই সিরিজ, এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। শুরুতে রান তুলতে কিছুটা বেগ পোহালেও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৫৬ রান।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। শুরুর দিকে বাংলাদেশি স্পিনারদের বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া জিম্বাবুয়ে ৬৭ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট।
আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৬৫ ও ৬২ রান করা সিকান্দার রাজা এদিন গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। আর ইনিংসে নিজের প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়ে ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ফেরানো নাসুম নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে নিজের খেই হারিয়ে ফেলেন।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে নাসুম আহমেদের বলে ৫ ছক্কা ও এক চারে ৩৪ রান তুলে জিম্বাবুয়েকে ট্র্যাকে ফেরান ব্যাটার রায়ান বার্ল। পাশাপাশি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও লুক জোঙ্গে। দু’জনের ৩১ বলে ৭৯ রানের জুটিতে ভর করেই শতরানের কোটা স্পর্শ করে স্বাগতিকরা। শুধু শতরান না, লড়াইয়ের পুঁজিটাও আসে তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই। হাসান মাহমুদের বলে জোঙ্গে ৩৫ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
একই ওভারের শেষ বলে ফেরেন উড়তে থাকা রায়ান বার্লও। ২৮ বলে ৫৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
মঙ্গলবার ‘বিশ্রাম’ কাটিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলে ফিরে বোলিংয়ে একটি উইকেটেও নিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট শিকার করেন মাহেদি হাসান ও হাসান মাহমুদ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর