বাংলাদেশ দলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মূল ভূমিকা ব্যাটিং অলরাউন্ডারের। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কার্যকরী বোলিং, এই চিন্তাতেই তাকে একাদশে নেয় টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে বোলিংয়ে তাকে খুব একটা নিয়মিত দেখা যায় না, হয়তো বিকল্প হিসেবেও থাকেন অনেক সময়।
সেই মোসাদ্দেকই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বল হাত একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন স্বাগতিকদের। চার ওভার বল করে মাত্র ২০ রান দিয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন তিনি। যেটা কিনা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগার।
অনিয়মিত একজন বোলার হিসেবে এরকম পারফর্মেন্স সত্যিই অবাক করার মতো। তবে ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেক জানালেন, কখনোই নিজেকে অনিয়মিত বোলার ভাবেন না।
বলেন, "আমি যখন বোলিং করি, তখন কখনোই ভাবি না যে আমি অনিয়মিত বোলার। বোলিংয়ে আমি সব সময় নিয়মিত বোলারের দায়িত্বটাই নেওয়ার চেষ্টা করি।"
জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন নুরুল হাসান সোহান
প্রথম ম্যাচ হারার পর সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না টাইগারদের। এমন ম্যাচে মোসাদ্দেককে দিয়েই বোলিং শুরু করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের পরিকল্পনা ছিল রান আটকানো, ম্যাচ শেষে এমনটাই জানান মোসাদ্দেক।
“উইকেটটা যদি দেখেন, বোলারদের জন্য খুব যে সহায়ক ছিল, সেটা বলব না। অবশ্যই উইকেট খুব ভালো ছিল। অধিনায়ক আমাকে বল দিয়ে বলেছিলেন রান আটকানোর কথা” যোগ করেন মোসাদ্দেক।
সিরিজের দুই ম্যাচেই লিটন কুমার দাস বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা পেয়েছেন অর্ধশতকেরও। ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেকের কণ্ঠে সতীর্থের জন্য ঝড়লো প্রশংসা বৃষ্টি।
বলেন, “প্রথম ম্যাচ কিংবা এই ম্যাচে, লিটন কিন্তু প্রতিদিনই আমাদের জন্য সুন্দর একটা শুরু করে দিচ্ছে। আমাদের দলের জন্য এটা খুবই ভালো, একটা ম্যাচে রান তাড়া করতে যা করা দরকার, সেটা লিটন আমাদের জন্য করছে।”
মোসাদ্দেক-লিটনে সিরিজে সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ
অধিনায়ক সোহানও সিরিজে ফিরে আসার কৃতিত্ব দিলেন মোসাদ্দেক ও লিটনকেই। বলেন, “বোলিংয়ে সুরটা ঠিক করে দিয়েছে মোসাদ্দেক, ব্যাটিংয়ে ঠিক তেমননি লিটন। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।”
মঙ্গলবার (দুই আগস্ট) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে ওই ম্যাচে জেতার কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি