জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরুর আগে টাইগারদের বর্তমান স্কোয়াডকে বলা হয়েছিল ‘নতুন’ বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে নতুন মোড়কেই দেখা গেছে তারুণ্য নির্ভর দলটিকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছন্নছাড়া বোলিংয়ে পর ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। সব মিলিয়ে ভালো দিন না কাটানো বাংলাদেশের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ঘুরে দাঁড়ানোর। কারণ ম্যাচ জিততে না পারলে হারতে হবে সিরিজ!
রোববার (৩১ জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানের হারের পর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেছিলেন বোলিংয়ে ১০-১৫ কম হলে ভালো হতো।
২০৬ রানের বড় লক্ষ্য পেলেও উইকেট ভালো হওয়ায় লক্ষ্য তাড়া করা কঠিন ছিল বলেও মনে করেন তিনি। তবে ওপেনিংয়ে মুনিম শাহরিয়ার ও তিনে নামা এনামুল হক বিজয়ের অতিরিক্ত বল অপচয়ের প্রভাবের শেষদিকে নুরুলের তোলা ঝড় খুব একটা কাজে আসেনি।
তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার যদি আবারও দলের রানের চাকা ঘুরাতে ব্যর্থ হলে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাবে। সেই চাওয়া নিশ্চিতভাবেই নেই বাংলাদেশের। তাই তো অধিনায়ক নুরুল বলেছিলেন, ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী তার দল।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াতে বোলিংয়ে নিজেদের ছন্দ ফিরে পাওয়ার কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমানরা হাত খুলে রান দিয়েছিলেন। তাতেই রানের পাহাড়ে চড়তে পেরেছিল জিম্বাবুয়ে।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারের কোনো রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। অবশ্য এখন পর্যন্ত তিনবার সিরিজ ড্র করেছিল দুইবার। আর বাংলাদেশের ঘরে সিরিজ উঠেছিল তিনবার। সপ্তমবারের এসে জিম্বাবুয়ের সামনে সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ!
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর