টি-টোয়েন্টিতে টানা ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বাংলাদশ দলের সামনে ফরম্যাটটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে দলে নেই সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরা। উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসানের সোহানের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়েকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। সোহানের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, “আমরা জিম্বাবুয়েতে নতুন টিম পাঠাচ্ছি।” সেই নতুন বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শনিবার (২৯ জুলাই)।
টানা ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ও স্কোয়াড থেকে ‘বিশ্রাম’ পেয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিবেন নুরুল হাসান সোহান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি স্কোয়াডে নেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত কারণে বেশ আগেই জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের আগে তরুণ ক্রিকেটারদের পরখ করতে চাওয়ায় স্কোয়াডে জায়গা মেলেনি মুশফিকুর রহিমের।
তরুণ দলের অধিনায়কত্ব পেয়ে খুব বেশি রোমাঞ্চ প্রকাশ করেনি নুরুল হাসান সোহান। দেশ ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সোজাসুজিই জানিয়ে দিয়েছেন, তার লক্ষ্যে শুধুই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দিকে। এই সময়ে দল হিসেবেই সবার কাছ থেকে পারফর্মেন্স বের করে আনাটাই লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিতই ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক বাংলাদেশের সামনে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ সেই সময় জিম্বাবুয়ে অবশ্য কিছুটা নির্ভার। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে সেরা দল হয়েছে তারা।
ম্যাচ জয়ের স্রোতে থাকা জিম্বাবুয়ের চিন্তা জায়গা অবশ্য বোলিং আক্রমণ। দুই নির্ভরযোগ্য পেসার টেন্ডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানি ইনজুরির কারণে নেই সিরিজের দলে। তাদের বদলি হিসেবে জায়গা পাওয়া টনি মুনিওঙ্গা ও তিনাকা শিভাঙ্গা নিজেদের প্রমাণের চেষ্টাতেই মরিয়া থাকবে।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুই দল ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ১১ বার। জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৫ বার। সর্বশেষ পাঁচ দেখায় জয়ের পাল্লা ভারী অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষেই। চারবারই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডের মতো ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাটে সাবলীল নয় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১২৮ ম্যাচে খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে ৪৪ জয়ের বিপরীতে হার ৮১ ম্যাচে। শেষ ১৩ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১ টি। আর চলতি বছর খেলা ৮ ম্যাচের জয় জিতেছি মাত্র একটি।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, আফিফ হোসেন , নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক) , শেখ মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত।
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড
রায়ান বার্ল, রেগিস চাকাবা, তানাকা শিভাঙ্গা, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), লুক জঙ্গে, ইনোসেন্ট কায়া, ওয়েসলি মাধেভেরে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিওঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও শন উইলিয়ামস।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর