ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শক্তিশালী হলেও টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টিতে এখনো ধুঁকছে। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়ে সফরে তারুণ্য নির্ভর এক দল নিয়ে যাচ্ছে। সেই দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।
অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রোববার (২৪ জুলাই) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান। সেখানেই জানিয়েছেন নিজের কথা। পাশাপাশি দলের সবার প্রতিই তার আহবান, সবাই যেন সতীর্থদের সাফল্য উপভোগ করে।
ক্রিকেট মাঠে সবাই একইদিনে পারফর্ম করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। পারফর্ম করতে না পারলে সতীর্থদের মন খারাপ না করার প্রতি আহবান নুরুলের। বরং, সতীর্থদের সাফল্য উপভোগ করার পরামর্শ তার।
বলেন, “সবাই তো প্রতিদিন পারফর্ম করবে না, আমরা দলের সদস্য যারা থাকব, একজনের সাফল্যে যেন আরেকজন উপভোগ করি। আমার কাছে মনে হয় এই সংস্কৃতিটা ও দল হিসেবে খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
এছাড়াও মাঠে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটাকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নুরুল হাসান সোহান। ফলাফলের চিন্তা না করে বরং ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে দলকে ইতিবাচক সাফল্য এনে দেওয়া সম্ভব বলেও মত তার।
এই বিষয়ে নুরুলের ভাষ্য, “আমার কাছে মনে হয়, ভীতিহীন ক্রিকেট খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে, সেটা যেন করতে পারি। ফল নিয়ে আগে থেকে চিন্তা অনেক সময় প্রক্রিয়া ঠিক থাকে না। প্রক্রিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফল নিয়ে খুব বেশি কিছু চিন্তা করছি না। ভীতিহীন ক্রিকেট খেললে ইতিবাচক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ের সমস্যাটা সবসময় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সেই প্রশ্নটা আসে নুরুল হাসান সোহানের ক্ষেত্রেও। তার মতে বড় রানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোন স্কোর দলের রানে বেশি প্রভাব ফেলে।
এই বিষয়ে নুরুল হাসান সোহান বলেন, “১৫-২০ রান করলাম, পরের ম্যাচে রান না করলে প্রশ্ন ওঠে রান করে না করে? ১৫-২০ রানটা সংখ্যায় অনেক কম দেখা যায়। কিন্তু এখানে খেলায় কতটা প্রভাব ফেলতে পারছি কিংবা রাখতে পারছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিতে আমি যেখানে ব্যাটিং করি সেখান থেকে পঞ্চাশ বা একশ করার সুযোগ খুব কম থাকে। টিমে চাহিদা অনুাযায়ী যতটুকু থাকবে সেই ইম্প্যাক্ট আমি ফেলার চেষ্টা করব।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর