টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো করত গেলে পাওয়ার হিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বাংলাদেশ পাওয়ার হিটিংয়েই দুর্বল। অন্যান্য দলগুলোর তুলনায় যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে তারা, যেটা বড় মঞ্চে ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশী ব্যাটার লিটন কুমার দাসের মুখেও শোনা গেল একই কথা। তিনি বলেন, পাওয়ার হিটিং না পারাটা আসন্ন বিশ্বকাপে ভোগাবে টাইগারদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলারদের উপর যেন ‘পাওয়ার হিটিং’য়ের নমুনা দেখাচ্ছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৯৩ আর তৃতীয় টাইগারদের করা ১৬৩রান অবলীলায় টপকে যাওয়াটা তাদের পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতারই প্রমাণ। বাংলাদেশ এমনিতেই শারীরিক গঠনে জাতিগতভাবে পিছিয়ে, তারপর পাওয়ার হিটিংয়েও দক্ষতা না থাকায় অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভুগতে হবে বলে মনে করেন লিটন।
চলতি বছরের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার। অজিদের মাঠ্গুলো বড় থাকায় পাওয়ার হিটিং প্রয়োজন হবে। বিশ্বকাপের আগে সেটা আয়ত্তে না আনতে পারলে সমস্যায় পড়তে হবে, মত লিটনের। ওয়স্টে ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, তৃতীয় এবং শেষ টি–টোয়েন্টিতেও হেরে ২–০ তে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টাইগারদের হার, সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, “অনেকে বলে টি–টোয়েন্টি টেকনিকের খেলা, অনেকে বলে দক্ষতার খেলা। আমার কাছে মনে হয়, অনেক সময় পাওয়ার হিটিংটাও জরুরি। এখানে আমরা অনেক বেশি পিছিয়ে। বিশ্বকাপে মাঠ অনেক বড় থাকবে। এটা আমাদের ভোগাবে।”
পাওয়ার হিটিং সমস্যা কাটানোর জন্য অনুশীলন ও ম্যাচ বাড়ানোর কথা শোনা গেল এই টাইগার ব্যাটারের মুখে। “বেশি বেশি অনুশীলন করে এবং ম্যাচ খেলে যদি এতে আমরা উন্নতি করতে পারি, তাহলে আশা করি, বিশ্বকাপে ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব’’ যোগ করেন লিটন।
ম্যাচ হারার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলোয়াড়দের জাতিগত শক্তিমত্তার কথা বললেন লিটন। ওরা যে টাইগারদের চেয়ে শারীরিক গঠনে শক্তিশালী যার কারণে পাওয়ার হিটিংয়ে বাড়তি সুবিধা পায় এটাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
লিটন বলেন,“ওরা জাতিগতভাবে অনেক শক্তিশালী, যেটা আমি না বা আমাদের দলের কেউই না। । ওদের বাড়তি সুবিধা ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, যেটা আমরা খেলতে পারি না। তারা চাইলেই যেকোনো সময় বড় ছয় মেরে দিতে পারে, যেটার সামর্থ্য আমাদের দলের অনেকেরই নেই। আমরা বেশির ভাগ সময় চার মারারই চিন্তা করি। আর ওরা ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্য সব সময় থাকে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলোয়াড়দের জন্য বোলাররাও আতঙ্কে থাকে। এছাড়া অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে টাইগাররা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেকখানি পিছিয়ে রয়েছে বলে মত লিটনের।
জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছেন না সাকিব আল হাসান
বলেন, “টি–টোয়েন্টিতে ভালো দলগুলোর চেয়ে আমরা অনেকখানি পেছানো। আমাদের অনেক জায়গায় কাজ করার আছে।”
দলের সঙ্গে লিটনেরও টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালো কাটেনি। সাম্প্রতিক সময়ের ফর্ম অনুযায়ী লিটনের কাছ থেকে আর ভালো ইনিংস আশা করেছিল সমর্থকরা।
প্রথম ম্যাচে অস্বস্তিতে ভরা ইনিংসে ১৪ বলে তার রান ৯! যেখানে ১১টা বলেই কোনো রান করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আউট। বোলার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফিরে যান চার বলে পাঁচ রান করে।
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে লিটনের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। দেখেশুনে শুরু করা লিটন এদিন উইকেটে জমে গিয়েছিলেন। কিন্ত রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন ৪৯ রানে!
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি