টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও নিজেদের করে নিলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচ সিরিজের ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়েছিল।
সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রানের সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। তবে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের আটকাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
ব্যাট করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৪ রান করেন দলীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রানে জয় তুলে নিয়েছিল স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৩৫ রান তুলে বাংলাদেশ। ৪.৩ ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে বিজয় বিদায় নিলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। বিজয়ের পর সাকিব আল হাসানও হতাশ করেন। ৩ বলে ৫ রান করে সাকিব ফিরলে ৪২ রানে দ্বিতীয় উেইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আফিফ হোসেন ধ্রুবর সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রান তোলেন লিটন দাস। তবে তাকেও ফিরতে হয় হতাশ হয়ে। ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরেন লিটন। ৪১ বলে ৪৯ রান করা লিটন ফিরলে ৯৯ রান তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লিটন হতাশ হলেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন আফিফ। তবে ফিফটি স্পর্শ করা বলেই রান আউটে কাটা পড়ে তাকেও ফিরতে হয়। আফিফ চলে গেলে ১৫০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর আগে দলীয় ১৪৮ রানে ২০ বলে ২২ রান করা টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সাজঘরে ফিরেন।
শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৬ বলে অপারজিত ১০ রান করায় বাংলাদেশের দলীয় স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৬৩ রান। অন্যপ্রান্তে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে চাপে ছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। প্রথম পাঁচ ওভারের পাওয়ার প্লে থেকে ২ উইকেটে ৩৫ রান করে তারা। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে ওঠে ক্যারিবীয় ব্যাটাররা।
ওপেনার কাইল মায়ার্সের ৫৫ রানের পর অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ব্যাটে অনায়াসে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ বলে ৫৫ রান করেন মায়ার্স। তার এ ইনিংসে মাত্র ২টি চারের মার থাকলেও ছক্কা হাঁকার ৫টি।
এছাড়া পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকান অধিনায়ক নিকোলান পুরান। তার ৩৯ বলে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ বল বাকি রেখেই জয় তুলে নেওয়া সহজ হয়ে যায়।
পুরানের এ ইনিংসে ৫টি করে চার ও ছক্কার মার রয়েছে। ব্যাট হাতে দলের জয়ে এমন অবদান রাখায় ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা পুরষ্কার উঠেছে অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের হাতে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস