শুরু হয়েও বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচ নির্বিঘ্নে হলেও গায়নাতে তৃতীয় ম্যাচে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি। ম্যাচ নাও হতে পারে, হলে ওভার কাটার সম্ভাবনাও রয়েছে। সবকিছুর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তত থাকার কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ভেন্যু বদল হলেও বৃষ্টি পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের। ডমিনিকার মতো গায়ানাতেও গত কয়েকদিন ধরেই অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি পুর্বাভাসে ম্যাচের দিনও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ম্যাচের আগেরদিনও মেঘলা আকাশের নিচেই অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক রিয়াদ আশা করছেন, ম্যাচটি পুরোপুরি হবে। বলেন, “বৃষ্টির বিষয়টা আমাদের হাতে নেই। আমরা আমাদের প্রস্তুতি সাধ্যমতো নেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করব যে ম্যাচটা পুরোপুরি হবে।”
সেক্ষেত্রে প্রথম ম্যাচের মতো কার্টেল ওভারে খেলতে হতে পারে দুই দলকে। তাই আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তত থাকার কথা শোনা গেলো টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রিয়ায়দের মুখে।
তিন বছর পর সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
“না হলে আমাদের সেটা মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে হবে। প্রস্তুত থাকতে হবে। হয়তো ওভার কমতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে এবং দলগতভাবে আমাদের সবসময় মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে মানিয়ে নিতে। তারপর পরিস্থিতি যেটাই আসুক আমরা চেষ্টা করব মানিয়ে নিয়ে আমাদের ক্রিকেটটা খেলে যেতে” যোগ করেন রিয়াদ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ টপ অর্ডারের ব্যাটিং। কোনো ম্যাচেই টপ অর্ডার দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারছে না। তবে রিয়াদ সেসব নিয়ে চিন্তিত নয়, বরং সবাইকেই পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে চান তিনি।
বলেন, “চিন্তার বিষয় হিসেবে দেখছি না। যারাই সুযোগ পাচ্ছে তাদের প্রতি যেন আমরা আস্থা রাখি। যেন ওরা টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্তে আস্থা রাখতে পারে। যে যখন সুযোগ পাবে সে যেন ঠিক মতো সুযোগটা পায়। কমপক্ষে তিন-চারটা ম্যাচ যেন সুযোগ পায়। এরপর যদি কেউ ভালো না করে তখন হয়তো আরেকজনকে দেখব। কিন্তু সুযোগ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যেন ওরা যেন বুঝতে পারে, আমার কাছে সুযোগ আছে। আমি যেন এটা ঠিক মতো ব্যবহার করি।”
ব্যাটিংয়ে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, মত রিয়াদের। ধারবাহিকভাবে দেড়শো রান করার দিকে নজর টাইগার অধিনায়কের।
“টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এরকম। অনেক সময় ওপেনাররা ভালো শুরুর পরও মিডল অর্ডার সেটা টেনে নিয়ে নাও যেতে পারে। তারপরও কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। আগের ম্যাচে সাকিব যেরকম একটা ইনিংস খেলল, আমরা ১৬০-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। এরকম একজনকে করতে হবে। সঙ্গে কয়েকজনকে ১৫-২০-৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলতে হবে। তাহলে হয়তো আমরা ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ করতে পারব” যোগ করেন তিনি।
ইকোনমি বাড়ার জন্য উইকেটকে দায়ী করছেন মোস্তাফিজ
ব্যটারদের খারাপ সময়ে বাংলাদেশ যেটুকু লড়াই করতে পারছে, সেটা বোলারদের কল্যাণে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলাররাও ভালো করতে পারেনি। তবে বোলারদের উপর ভরসা আছে অধিনায়ক রিয়াদের। এমনকি কত রান করলে বোলাররা আটকে দিতে পারবে সেটাও বলে দিয়েছেন তিনি।
“আমাদের বিশ্বাস ব্যাটসম্যানরা যদি ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ রান করতে পারে বোলাররা সেটা ডিফেন্ড করতে পারবে। হয়তো আগের ম্যাচে পেস বোলাররা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু অনেক ম্যাচেই কিন্তু বোলাররা প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখতে পেরেছে” যোগ করেন রিয়াদ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারোটায় গায়ানাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় সিরিজ বাঁচাতে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে টাইগারদের। এই ম্যাচে বাংলাদেশ আসতে পারে অন্তত একটি পরিবর্তন। শেষ মুহূর্তে উইকেট দেখে তাসকিনের জায়গায় স্পিনার নাসুমকে একাদশে নিতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি