ওবেদ ম্যাকয়কে ছক্কা হাঁকিয়ে দুই হাজারি রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। ম্যাচ হারের ওই মুহূর্তে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার বিষয়টি সাকিবের মাথায় থাকবে না এটাই স্বাভাবিক, তাই এতে ছিল না কোনো উচ্ছ্বাস। কিন্তু দুই হাজারি ক্লাবে তার এন্ট্রিটা ছিল পুরোটাই রাজকীয়। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই হাজার রানের মাইলফলক ছুয়েছেন তিনি।
রোববার (৩ জুলাই) ডোমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে সাকিবের নামের পাশে ছিল ১৯৩৭ রান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের ১০ম অর্ধশতক তুলে নিয়ে নাম লিখিয়েছে টি-টোয়েন্টি দুই হাজারি ক্লাবে। ৪৫ বলে অর্ধশতকের করা সাকিবের এটি মন্থরতম ফিফটি।
এই ক্লাবে অবশ্য সাকিব একমাত্র বাংলাদেশি সদস্য নন। এর আগে এই ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিবের এই কীর্তি গড়তে সময় লেগেছে ৯৮ ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের বর্তমান রান ২০০৫। এছাড়াও বল হাতে তার শিকার ১২০ উইকেট। ক্রিকেট বিশ্বে সাকিবই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টি-টোয়েন্টিতে দুই হাজার রান ও একশ উইকেট শিকার করেছেন।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক সাকিব আল হাসান। প্রথম স্থানে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান ২০২৫। সাকিবের এই ফর্ম বজায় থাকলে পরের ম্যাচেই হয়তো পিছনে পড়বেন রিয়াদ।
তৃতীয় স্থানে থাকা তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭০১ রান। ছয় মাসের জন্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তামিম এই ফরম্যাটকে বিদায়ই বলে দিবেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তাই অতি শীঘ্রই কেউ এই ক্লাবের সদস্য হচ্ছেন না তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা মুশফিকুর রহিমের রান ১৪৯৫ ও পঞ্চম স্থানে থাকা সৌম্যের ব্যাটে এসেছে ১১৩৬ রান।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর