সাদা পোশাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাইয়ের পর রঙিন পোশাকে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। রঙিন পোশাকের সূচনাটা হবে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে ম্যাচ জয়ের জন্য স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহের প্রয়োজন নেই বলে মত ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের।
টেস্ট সিরিজ শেষে সেন্ট লুসিয়াতেই অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দিনের অনুশীলনে ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করেছেন সিডন্স। সেই অনুশীলন শেষেই জানিয়েছেন, ব্যাটারদের কাছ থেকে বড় কোনো সংগ্রহের আশা করছেন না তিনি। বরং বোলারদের কাছ থেকে দারুণ কিছু আশা করছেন তিনি।
বলেন, “আমাদের খুব ভালো বোলিং লাইনআপ আছে, আমার মনে হয় না আমাদের বিশাল পুঁজি সংগ্রহ করতে হবে। আমাদের ভাল একটা রান আনতে হবে। সিঙ্গেল গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বাউন্ডারি অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জেতায়। বেশি বাউন্ডারি হলে বেশি ম্যাচ জেতা হয়।”
স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ আশা না করলেও ব্যাটারদের পাওয়া হিটিং ও বাউন্ডারি থেকে রান আদায়ের বিষয়গুলোতে নজর দিয়েছেন এই অজি। তিনি বলেন, “আমরা এখনো পাওয়ার হিটিং ও ভাল ক্রিকেটে নজর দিচ্ছি। ছক্কার ঘাটতি পোষাতে আমদের বেশি বেশি চার মারতে হবে, সিঙ্গেল নিতে হবে এবং কিছু যদি মারা যায় (ছক্কা)।”
পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করলেও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য তা যে মোটেও সহজ হবে না সেটা জানিয়েই দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররা নিজের পেশিশক্তির ব্যবহার করে যেভাবে পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগী। টাইগারদের ক্রিকেটারদের জন্য এর চেয়ে ভিন্ন কোনো পন্থা অবলম্বন করতে হবে বলে মত তার।
তিনি বলেন, “এটা আসলে কঠিন। জাতি হিসেবে এখানে অনেক বড় (শারীরিক গড়নে) খেলোয়াড় নেই। যেমন জস বাটলার ৬ ফুট দুই ইঞ্চি (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (৫ ফিট ৯ ইঞ্চি) এবং বড়সড়, মার্কার স্টয়নিসও বড়। আমাদের অন্য উপায় বের করতে হবে।”
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে এসেছেন জেমি সিডন্স। তার অধীনে মাত্র দুই টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। তাই এখনই দলের টি-টোয়েন্টির অবস্থা নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি নন এই অজি।
তিনি বলেন, “টেস্ট ম্যাচ ভালো যায়নি কিন্তু আমি এখন টি-টোয়েন্টিতে ফোকাস করছি। আমি কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে দেখেছি খেলোয়াড়দের আমার আসার পর থেকে। কাজেই আমার এই জায়গায় বেশি সময় পাওয়া হয়নি, মতামত দেওয়ার মতো অবস্থা হয়নি। তবে জানি বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে, দেখা যাক তিন ম্যাচে কি হয়।”
কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও দলের ক্রিকেটারদের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোর জন্য প্রস্তুত করতে কাজ করছেন বলে জানান জেমি। বলেন, “টি-টোয়েন্টি দলে আমাদের নতুন কিছু খেলোয়াড় আছে। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জেতা বা ভালো খেলার জন্য দলটা তৈরি করা এবং এশিয়া কাপও আছে। টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংয়ের দর্শন নিয়ে কাজ করা।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর