প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১১৫ রানে পুঁজি, বোলিংয়ে ছিল বার বার ক্যাচ মিসের মহড়া। হলো না আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার আশা পূরণ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরে গেল ৮ উইকেটে। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-১ সমতায় শেষ হলো।
শনিবার (৫ মার্চ) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ১১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের ম্যাচে ১৪ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই ক্যাচ ফেলে দেন টাইগার বোলার নাসুম আহমেদ। নিজের করা প্রথম ওভারেই উইকেট শিকারে দারুণ সুযোগ পেয়েও সফল হতে পারেননি নাসুম। আফগার ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই বল বাতাসে উড়িয়ে দিলেও বোলিং প্রান্ত থেকে সজহ ক্যাচটি নিতে পারেননি তিনি। ওই বলেই রানের খাতা খুলে আফগানিস্তান।
পরের ওভারেই অবশ্য উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তৃতীয় বলে ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজকে (৩) ফেরান মাহেদী হাসান। কভারের বাঁম দিকে ছুটে এসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্যাচবন্দি করলে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৯ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের সাথে উসমান গনি এ জুটি গড়নে। যদিও এর মাঝে বেশ কয়েকবার জীবন পেয়েছেন তারা।
দ্বাদশতম ওভারের পঞ্চম বলে জীবন পান উসমান গনি। মাহেদী হাসানের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাপ ফেলে দেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে আবারও জীবন পান গনি। মাহেদী হাসানে বলে ডিপ স্কয়ার লেগে এবার ক্যাচ ফেলে দেন নাঈম। দুইবার জীবন পাওয়া গনিকে অবশেষে সাজঘরে ফেরান মাহমুদউল্লাগ রিয়াদ।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের করা প্রথম বলে ক্যাচ ধরেন উইকেটকিপার লিটন দাস। দুইবার জীবন পেয়ে ৪৮ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৪৭ রান করেন গনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন জাজাই ও গনি।
দলীয় ১০১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। গনি যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ১৩ রান দূরে ছিল আফগানিস্তান। চার নম্বরে নামা দারউইশ রাসুলিকে নিয়ে আফগানিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জাজাই। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন জাজাই। অন্যপ্রান্তে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন রাসুলি।
এর আগে টস প্রথমে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৫ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মুশফিকুর রহিম। নাঈম এবং লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান করে। এছাড়া অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। চার ব্যাটার ছাড়া বাকি সবার রান সংগ্রহ ছিল সিঙ্গেল ডিজিটে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]