আগের ম্যাচেই খলনায়ক বনে গিয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। মঈন আলির কাছে বেধড়ক মার খেয়ে কার্যত ম্যাচটাই তুলে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হাতে। তবে এবার আর সুযোগ দিলেন না ইংলিশদের। নিজে গড়লেন রেকর্ড সেই সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিলেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি।
হোল্ডারের নৈপুণ্যে ব্রিজটাউনের কিংস্টোন ওভালে পাচ ম্যাচ টিটোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে কাইরন পোলার্ডের দল। চতুর্থ ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-২ তে সমতায় এনেছিল ইংলিশরাও। তাই এই ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল অঘোষিত ফাইনাল। এমন ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং এবং কাইল মায়ার্স। দু’জন মিলে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬ দশমিক ৪ ওভারে (৬.৪) দলকে এনে দেন ৫৯ রানের সংগ্রহ। ১৯ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মায়ার্স বিদায় নিলে ভাঙ্গে এই জুটি। এরপর খুব দ্রুতই আর দুই উইকেট হারিয়ে বসের ক্যারিবীয়রা। এর মধ্যে রোমারিও শেইফার্ড ৬ এবং ব্রেন্ডন কিং ৩৪ রান করে বিদায় নেন।
বাকি পথটা পাড়ি দেন নিকোলাস পুরান, কাইরন পোলার্ড এবং রোভম্যান পাওয়েল। পুরান দেখেশুনে খেলে ২১ রান করে আউট হলেও বাকি দুইজন ঝড় বইয়ে দেন ইংলিশ বোলারদের উপর। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানের ভালো সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। পোলার্ড অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৪১ রানে। ৪ ছক্কা আর এক চারে পাওয়েল খেলে যান ১৭ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও।
১৮০ রানের জবাব দিতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ধুঁকতে থেকে ইংল্যান্ড। উইকেটে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননিও কেউই। তাতে ১০০ রানের আগেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। একে একে বিদায় নেন জেসন রয় (৮), টম ব্যান্টন (১৬), মঈন আলি (১৪) ও লিয়াম লিভিংস্টোন (৬)। আসা যাওয়ার এই মিছিলে ব্যক্তিক্রমী ছিলেন কেবল জেমস ভিন্স। একটা সময় ৩৫ বলে ৫৫ রান করে বিদায় নেন তিনিও। ইংল্যান্ডের রান তখন ১৩ দশমিক ৩ (১৩.৩) ওভারে ১১২।
সেখান থেকে লড়াইটা চালিয়ে যান তরুণ স্যাম বিলিংস। যতক্ষণ বিলিংস ছিলেন, জয়ের আশাও উকি দিচ্ছিলো ইংলিশদের মনে। তাঁর ব্যাটে চড়ে জয়ের দেঁড়গোড়ায় পৌছে গেছিলো ইংলিশরা। কিন্তু শেষ ওভারেই সব হিসাব উল্টে দেন হোল্ডার। তাঁর করা ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিস জর্ডান আউট হতেই খেই হারিয়ে ফেলে বাকি তিন ব্যাটারও।
জর্ডানের পথ ধরে ৩ বলে পরপর বিদায় নেন স্যাম বিলিংস , আদিল রশিদ এবং সাকিব মাহমুদ। আর তাতেই চার বলে চার উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ডে ভাগ বসানোর পাশাপাশি ট্রফিটাও নিজেদের মাটিতে রেখে দেন হোল্ডার। ডাবল হ্যাটট্রিকের অর্জনে জায়গা করে নেন রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা ও কার্টিস ক্যাম্ফারের পাশে।
ম্যাচে ২ দশমিক ৫ (২.৫) ওভার বল করে মত্র ২৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন হোল্ডার। এছাড়া ৩০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন স্পিনার আখিল হোসেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]