সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১২৭ রানের সংগ্রহ গড়ে হারের স্বাদ নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ টাইগার ব্যাটাররা। প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১৯ রান করে নিজেদের ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রানের সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজে টিকে থাকার মিশনে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভারের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাঈম-সাইফ। নাঈম ৮ বলে ২ ও সাইফ ১ বল খেলে শূন্য রান ফিরেন। পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে লেগ বিফোর হন সাইফ। নাঈমকে শিকার করেন পাকিস্তানের আরেক পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। প্রথম ম্যাচে ১ রান করে করেছিলেন তারা।
৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন। দ্রুত রান তুলেছেন দু’জনে। পাওয়া-প্লের সুবিধা কাজে লাগানোর লক্ষ্য ছিল শান্ত ও আফিফের। পুরোপুরি সফল না হলেও পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রান পায় বাংলাদেশ।
অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছায়। তবে নবম ওভারের প্রথম বলে শান্ত-আফিফের জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের স্পিনার শাদাব খান। ১টি করে চার-ছক্কায় ২১ বলে ২০ রান করেন আফিফ। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ বলে ৪৬ রান তুলেন শান্ত ও আফিফ।
আফিফের বিদায়ের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে আরও একটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। ভালো শুরুর পরও বড় জুটি গড়তে পারেননি তারা। ১৩তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর বিদায় ঘটে। পেসার হারিস রউফের বলে আউট হওয়ার আগে ১টি চারে ১৫ বলে ১২ রান করেন অধিনায়ক। শান্ত-মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন।
পরের ওভারে থামেন শান্তও। দারুণ খেলতে থাকা শান্তকে শিকার করেন শাদাব। নিজের বলে নিজেই দারুণ এক ক্যাচ নেন শাদাব। ৫টি চারে ৩৪ বলে ৪০ রান করেন শান্ত।
শান্তর ফিরে যাওয়ায় উইকেটে আসেন মাহেদি হাসান। আগের ম্যাচে ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছিলেন মাহেদি। কিন্তু আজ ৮ বলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এতে ১৬তম ওভারে ৮৮ রানে ৬ উইকেট পতনে বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
ক্রিজে বাংলাদেশের পক্ষে স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে ছিলেন নুরুল হাসান। আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৮ ও তাসকিন আহমেদ ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বল হাতে পাকিস্তানের আফ্রিদি ১৫ রানে ও শাদাব ২২ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্ট্রল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]