টানা সিরিজ জয়ে সেমি-ফাইনালে খেলার আশা নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে প্রাথমিকপর্বে দুটি ম্যাচ ছাড়া মূলপর্বে জিততে পারেনি কোন ম্যাচ। বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সে বড় ধাক্কা খাওয়া দেশের ক্রিকেট এখন কাঠগড়ায়। নড়েচড়ে বসছে বোর্ডও। টিম ডিরেক্টর নিয়োগ ছাড়াও পুরো কোচিং স্টাফ নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। কথা উঠেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্ব নিয়েও।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের একাংশ দেশে ফিরেছেন। তবে কোচিং স্টাফ ছাড়াও দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। ফেরেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিম-লিটন দাস এবং তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তবে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর খালেদ মাহমুদ সুজনকে দেওয়া হয়েছে ‘টিম ডিরেক্টার’র দায়িত্ব। দেশের সাবেক এ অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালকের কাঁধে নতুন দায়িত্ব অর্পিত হওয়ার পর অনেকটা আশা বুক বাঁধছেন টাইগার ভক্তরা।
নতুন দায়িত্ব খালেদ মাহমুদ সুজন এখন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ‘টিম ম্যানেজমেন্ট’র যুক্ত হয়েছেন। যেখানে দল নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তার মতামত রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, বিশ্বকাপে দল ব্যর্থ হলেও সবকিছু খুব দ্রুত হয়ে যাবে এমনটা ভাবছেন না টাইগারদের নতুন টিম ডিরেক্টর। দলের ব্যাকআপ খেলোয়াড়, সিস্টেম ডেভেলোপ থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ধীরে চলার নীতিতে হাঁটতে চাচ্ছেন তিনি।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আসলে তাড়াহুড়ো করলে কিছু হবে না। এখন যেহেতু একটা ধাক্কা (বিশ্বকাপের ব্যর্থতা) আসছে, যেহেতু আমরা ভালো করি নাই। কিন্তু এটা (সমাধান) তো আর রকেট না যে, হঠাৎ করেই চলে আসবে। আমরা যেটা আরম্ভ করবো সেটা হবে। আমাদের একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।’
দায়িত্ব পাওয়ার পর বিশ্বকাপের স্কোয়াডে বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠের অনুশীলন শুরু করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এখানে করছে (অনুশীলন), আমি মনে করি তারা সবাই সক্ষম ছেলে। বাইরে আরও কিছু সক্ষম ছেলে আছে। সেটি আস্তে আস্তে হয়তো এগোবে।’
বিশ্বকাপ শেষেই পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে টাইগারদের মাঝে বড় পরিবর্তন দেখছেন না সুজন। বলেন, ‘আপনি যদি এখন খুব দ্রুত যদি পরিবর্তন আনেন, পরিবর্তন অবশ্যই হবে। পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক, হয়তো জানুয়ারিতে একটা পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু এ সিরিজটা (পাকিস্তান সিরিজ) যেহেতু কাছে, খুব বড় কিছু পরিবর্তন হবে তা না, তবে পরিবর্তন হবে।’
ওয়ানডে ও টেস্টে সেট দল থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে এখনো সেটা পারেনি বাংলাদেশ। যার সর্বশেষ ফলাফল বিশ্বকাপের ব্যর্থতা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো দল গড়তে তরুণদের সুযোগ দেখছেন সুজন। তবে সেটিও হুট করে নয়।
তিনি বলেন, ‘এক্সপোজার দিতে চাইলে তরুণ ছেলেদের এখানেই (টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট) দেওয়ার একটা প্ল্যান আছে। যেহেতু এ সংস্করণে আমরা ভালো খেলছি না। আমি বলছি না যে, এ (তরুণ) ছেলেরা খেললেই বাংলাদেশ জিতবে। নট রিয়ালি, তবে ছেলেদের তৈরি করাটা বড় ব্যাপার। এটা পর্যায়ক্রমে করতে হবে, ধীরে ধীরে। সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।’
খালেদ মাহমুদ সুজন আরও বলেন, ‘আপনি যদি তাদের (তরুণদের) চিন্তা করেন তাহলে তাদের তো সময় দিতে হবে। জাতীয় দলের জায়গাটা ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অনেক অনেক উপরে। এখানে এসেই একটা ছেলে হঠাৎ করে অনেক কিছু করে ফেলতে পারবে তা না। আপনি যদি ছেলেগুলোকে বিবেচনা করেন, তাহলে তাদেরকে সময় দিতেই হবে।’
‘একটা সফর বা দুটা সফর দিয়ে তাদের বিবেচনা করলে হবে না। তবে আমরা তাদের সেই সাহসটা দিতে চাই। স্বাধীনতা কথাটি আমরা সব সময় বলি। আমরা তাদের (তরুণদের) এই সাহসটা দিতে চাই যে, যেন সাহসটা নিয়ে তারা খেলে।’ -যোগ করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]