টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের প্রথম দুই ম্যাচে হতাশাজনক হারের পর শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। সুপার টুয়েলভে প্রথম দুই ম্যাচে ক্যারিবিয়রাও পরাজিত হয়েছে। ফলে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ উভয় দলই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারের স্বাদ নিয়েছে টাইগাররা। ফলে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারলেই সেমিফাইনালে খেলার আশা থেকে ছিটকে যাবে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, একই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলেরও। চলমান বিশ্বকাপে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ফেবারিট ভাবা হলেও আর থেকেই ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রেয়েছে গেইল-পোলার্ডরা। ফলে সেমির আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের বিপক্ষে উইন্ডিজদেরও জয় বিকল্প নেই।
এদিকে, ২০০৭ সালে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি বাংলাদেশকে উদ্বুদ্ধ করবে। এরপর থেকে ক্রিকেটের তৃতীয় বড় ইভেন্টে প্রাথমিক পর্বের বাইরে কোন জয় তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দু’টিসহ তিনটি সিরিজ জয়ের পর এবার বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে পারবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে প্রাথমিক পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে হোচট খায় বাংলাদেশ।
প্রাথমিক পর্বের বাকি দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ঘুড়ে দাঁড়ালেও সুপার টুয়েলভের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে গেছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ভালো করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে বড় ব্যবধানের হেরে গেছে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর ব্যাটিং পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যাটিং উপযোগী উইকেট পেয়েও ৯ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ব্যাটিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ব্যাটিং নিয়ে হতাশ। এটি ভালো উইকেট ছিল। তবে আমরা শুরুটা ভালো করিনি এবং মাঝে কোন পার্টনারশিপও ছিল না।’
বাংলাদেশের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজও নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে গেছে। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ হেরে সেমি ফাইনালের আগে বাংলাদেশের মতো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দলের দারুণ সব পাওয়ার হিটার থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ পায় ক্যারিবীয়রা।
বাংলাদেশের ধারাবাহিকতার অভাব থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অপ্রস্তুত ও অঘোছালো দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্যারিবীয়দের হারানোর এটাই ভালো সুযোগ।
পরিসংখ্যান বলছে, এ ফরম্যাটে অন্য যেকোন শীর্ষ দলের চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বাংলাদেশের সাফল্যের হার বেশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২ ম্যাচে টাইগাররা পাঁচটিতে জিতেছে। হেরেছে ছয়টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরমেন্স আশানুরুপ নয়। এখন পর্যন্ত ১১৭ ম্যাচে ৪৩টি জিতেছে তারা। ৭২ ম্যাচে হার ও দু’টি পরিত্যক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের এ সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে ২৯টি ম্যাচ খেলেছে এবং মাত্র সাতটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাছাই পর্ব থেকেই ছয়টি জয় এসেছে।
বাংলাদেশ দল
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, রুবেল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]