টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে অলআউট হলো বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে নাঈম-সাকিবের ব্যাটে ১৫৩ রান সংগ্রহ পান টাইগাররা। ওপেনার নাঈম ৬৪ এবং সাকিব ৪২ রান করেন।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ওপেনিং ব্যাট হাতে মাঠে নামেন লিটন কুমার দাস ও নাঈম শেখ। প্রথম ম্যাচের ন্যায় দ্বিতীয় ম্যাচেও হতাশ করেন লিটন। দুইবার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি এ টাইগার ওপেনার।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১১ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলোদেশের। প্রথম ম্যাচে ৫ রান করা লিটন দাস এ ম্যাচে ফিরেন ৬ রান। ৭ বলের এ ইনিংসে ছিল না কোন বাউন্ডারি বা অভারবাউন্ডারির মার।
এরপর এই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ছেড়ে দেওয়া তিন নম্বরে ব্যাট হাতে মাঠে নামা মাহেদী হাসানও হতাশ করেন। ৪ বল খেলে খালি হাতেই ফিরেন তিনি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে (৪.৩) মাহেদী ফিরলে দলীয় ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মাহেদী চলে যাওয়ার পর ওপেনার নাঈম শেখের সঙ্গী হোন সাকিব। দু’জনের ব্যাটে ভর করে পাওয়া প্লেতে ২৯ রান (নাঈম ১৫, সাকিব ৬) পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৩ রান।
নাঈম-সাকিবের ব্যাটে রানের গতি পায় বাংলাদেশ। ফলে ১৪তম ওভারে প্রথম বলে দুই রান নিয়ে শত রানের দলীয় সংগ্রহ গড়েন নাঈম শেখ। তবে এরপরই দূভাগ্যে রান আউটে কাটা পরেন সাকিব আল হাসান।
ব্যাট হাতে হাফ-সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরেন সাকিব। ২৯ বলে ৬টি চারে ৪২ রানের এ ইনিংস সাজার তিনি। সাকিব চলে যাওয়ায় দলীয় ১০১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সাকিব না পারলেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় বারের মতো অর্ধশত রানের করেন নাঈম শেখ। নিজের খেলা ৪৩তম বলে চার মেরে অর্ধশত (৫৩) রান পূর্ণ করেন তিনি।
১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে নাঈম ফিফটি হাকানোর পর ওভারের শেষ বলে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নুরুল হাসান হোসান ৪ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফিরলে দলীয় ১১২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় টাইগাররা।
এরপর বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাকাতে গিয়ে এক্সটা কাভার অঞ্চলে ক্যাচবন্দি হোন আফিফ। ৫ বলে ১ রানে আফিফের আউটে ১২০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আফিফ চলে যাওয়ার একই ওভারে সাজঘরে ফিরেন নাঈম শেখ। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচবন্দি হওয়ার আগে ৬৪ রান করেন তিনি। ৫০ বলে নাঈমের এই ইনিংসে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ের মার ছিল। অন্যদিকে, নিজের শেষ ওভারে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন ওমানের ডানহাতি পেসার কলিমুল্লা।
পর পর দুই উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে মাঠে নামেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম। প্রথম ম্যাচে মুশফিক ৩৬ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরেন ৬ রানে। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৩৮ রান সপ্তম উইকেট হারানোর পর পরের বলেই ডাক মারেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ফলে আবারও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০তম ওভারের বিল্লাল খানের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। ১০ বলে রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
শেষ ওভারে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০তম ওভারের বিল্লাল খানের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। ১০ বলে রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। আর বলে ২ রান করা মোস্তাফিজুর রহমান আউটি হলে অন্যপ্রান্তে ১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন আহমেদ।
ওমানের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট শিকার করে বিল্লাল খান এবং ফয়েজ বাট। এছাড়া কলিমুল্লা ২টি এবং অধিনায়ক জিসান মাকসুদ ১টি উইকেট শিকার করেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]