ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির মধ্যকার প্রাথমিক পর্বের ম্যাচ দিয়ে টানা পাঁচ বছর পর মাঠে গড়ালো আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শুরুতেই বিপদে পড়া দলকে ব্যাট হাতে দারুণভাবে টেনে তুললেন পাপুয়া নিউ গিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা। ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি।
রোববার (১৭ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওমান ক্রিকেট দল। তাদের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা শুরুতেই প্রমাণ পায়। প্রথম দুই ওভারেই পর পর দুটি উইকেট হারায় পাপুয়া নিউ গিনি।
দলের খাতায় কোন রান যোগ করতে না পারার আগেই দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ওয়ান ডাউনের নামা দলের অধিনায়ক আসাদ ভালা। ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে তুলে নেন বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধশত।
শূন্য রানে জোড়া উইকেট হারানোর পর ১০২ রান চতুর্থ উইকেটচ হারায় পাপুয়া নিউ গিনি। ১৪ দশমিক ১ বলে আসাদ ভালা ফিরে যাওয়ার আগে দলীয় ৮১ রানে তৃতীয় উইকেট হারার তারা। সাজঘরে ফেরার আগে অধিনায়ক আসাদের সাথে ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন চার্লস অ্যামিনি। তিনি করে ২৬ বলে ৩৭ রান।
অন্যদিকে, পাপুয়া নিউ গিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৫৬ রানে। ৪৩ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসাদ ভালার এটিই প্রথম অর্ধশত নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এর আগে আরও তিনবার অর্ধশত রানের ঘর স্পর্শ করেছেন পাপুয়া নিউ গিনির এ অধিনায়ক। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের একটি ইনিংসও রয়েছে।
আসাদ ভালার এমন ব্যাটিংয়ে ওমান ক্রিকেট দলকে ১৩০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারে পাপুয়া নিউ গিনি। আসাদ-চার্লস অ্যামিনি ছাড়া ব্যাট হাতে দলের পক্ষে আর মাত্র একজন ক্রিকেটার দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন। তিনি হলেন সেসে বাউ, তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। বাকি সবাই ছিলেন যাওয়া-আসার মাঝে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]