উদ্বোধনী জুটিতে শতরান, শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস, মাঝে ব্যাট হাতে সৌম্য-মুশফিক-আফিফ ব্যর্থ হলেও টাইগারদের ব্যাটিং প্রস্তুতিটা দারুণ হলো। তবে ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশকে পুরো ২০ ওভার বল করতে হয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের আগে প্রত্যাশিত জয় ধরা দিলেও বোলিং নিয়ে নতুন করে ভাববা তৈরি হতে পারে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ একাদশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ না খেলায় টাইগারদের প্রস্তুতি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন লিটন কুমার দাস।
ব্যাট হাতে উদ্বোধনী জুটিতে শতরানে পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১০২ রানে লিটন দাস আউট হলে টাইগারদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এর আগে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন লিটন। ৩৩ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কা ৫৩ রান করেন তিনি।
১০২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর পরবর্তি ২২ রানে আরও তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১৬ রানে সৌম সরকার (৮), ১১৮ রানে মুশফিকুর রহীম (০) এবং ১২৪ রানে আফিফ হোসেন (৬) সাজঘরে ফিরেন। এছাড়া ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ব্যক্তিগত ৬৩ তার স্বেচ্ছায় অবসরে যান। ৫৩ বলে তার এ ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল।
পর পর তিন উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে আফিফ চলে যাওয়ার পর আরও কোন উইকেচ হারায়নি বাংলাদেশ।
সোহান ও শামীমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুইশ রান পার করে বাংলাদেশ। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৭ রান। ব্যাট হাতে ১৫ বলে অপারজিত ৪৯ রান করে সোহান, তার এ ইনিংসে কোন চারের মার না থাকলেও ছক্কার মার ছিল ৭টি। অন্যদিকে, ১০ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শামীম।
২০৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও ভালোই জবাব দেয় স্বাগতিক ওমানের ‘এ’ দল। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে তুলে নেয় ১৪৭ রান।
ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ানডাউনে নামা ওমানের শোয়াইব খান। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রানের রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। শোয়াইব ছাড়া অবশ্য বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মাঝে।
শেষ দিকে রাফিউল্লাহ ৩১ রান, রউফ আতাউল্লাহ ১৯ এবং মেহরান খান ১৯ রান করেন। ফলে ৯ উইকেটে ওমান ‘এ’ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৭ রান। পরাজয় বরণ করে ৬০ রানে। তবে সবচেয়ে বড় কৃতীত্ব হলো বাংলাদেশি বোলারদের তারা পুরো ২০ ওভার খেলতে পেরেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে কৃপণ ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ভারে ১৭ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি উইকেট। এছাড়া পেসার শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট এবং ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী এবং আফিফ হোসেন।
ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে অধিনায়ক লিটন দাস সাতজন বোলারকে দিয়ে বল করিয়েছেন। যেখানে সৌম্য সরকার ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি ১ ওভারে ৭ রান দিয়ে তিনিও উইকেট শূন্য ছিলেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]