বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোন ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়লো জিম্বাবুয়ে। সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৩ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৮৭ রান।
রোববার (২৫ জুলাই) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। ফলে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে।
ব্যাটিংয়ে নেমেই মারমুখী মেজাজে হাজির হন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। তাদিওয়ানাশে মারুমানি এবং ওয়েসলে মাদভেরে মিলে প্রথম তিন ওভারে তোলেন ২৮ রান। পঞ্চম ওভারে সাকিব আল হাসান রানের স্রোত কিছুটা কমালেও (৩ রান) পরের ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ছক্কা হাঁকান মারুমানি। তবে ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুইয়ান ওপেনারকে বোল্ড করে দেন তিনি।
মারমুখি মেজাজে খেলায় পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৬৩ রান। এরপর উইকেটে এসে রীতিমত ভয়ঙ্কর চেহারায় হাজির হন রেগিস চাকাভা। নাসুম আহমেদের করা ১১তম ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে পরের ওভারেই তাকে থামান সৌম্য সরকার।
সৌম্যর বল উড়িয়ে মারলে নাইম শেখ আর শামীম হোসেন পাটোয়ারীর যৌথ প্রচেষ্টার ক্যাচবন্দি হোন চাকাভা। একই ওভারে আরেকটি উইকেট তুলে নেন সৌম্য। অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করেন রানের খাতা খোলার আগেই।
১১তম ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে পরের ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান তুলে জিম্বাবুয়ে। এরপর সাকিবের করা ১৬তম ওভারে মাত্র ৩ রান নেয় তারা। তবে শেষ ওভারে সাইফউদ্দিন ১৪ দিলে ১৯৩ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।
বল হাতে সৌম্য সরকার ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ২৭ এবং সাকিব ২৪ রান দিয়ে শিকার করে একটি করে উইকেট। অন্যদিকে, সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার ছিলেন সাইফউদ্দিন। একটি মাত্র উইকেট শিকার করলেও রান দিয়েছেন ৫০টি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের এটি সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের খুলনায় ব্রেন্ডন টেইলরের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল প্রথমে ব্যাট করে ১৮৭ রানের সংগ্রহ গড়েছিল। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ম্যাচ সেরা ইনিংসে (৫৯) গড়া সেই ম্যাচে ৬ রানে জয় পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
এছাড়া নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৬৮ রান। ওই ম্যাচেও জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ১৬৬ রানের ইনিংস গড়ে ২৩ রানে জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। সেটিও অবশ্য চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
তবে দেশের মাটিতে ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। সেটি অবশ্য ২০১৬ সালে খুলনার একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।
এছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে সর্বোচ্চ ২০০ রান করারও রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে ঢাকায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন ওই ম্যাচে ৪৮ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]