সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির রানার্স আপ হয়ে বাংলাদেশ দল কাল দেশে ফিরলেও তামিম ও মাহমুদউল্লাহ পিএসএল খেলতে কলম্বো থেকে উড়ে গেছেন লাহোরে। বাঁচা-মরার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের মুখোমুখি হয় তামিমের পেশোয়ার জালমি।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নওয়াজের প্রথম চার বলে দুই চার হাঁকান তামিম। এরপরই নামে বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে পেশোয়ারও যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
দ্বিতীয় ওভারে রাহাত আলীর বলে প্লেড-অন হয়ে ফেরেন কামরান আকমল (০)। তামিম অবশ্য তার ছন্দটা ধরে রেখেছিলেন ঠিকই। চতুর্থ ওভারে ওই রাহাত আলীকেই পুল ও কভার ড্রাইভে হাঁকান দারুণ দুটি চার। আগের ওভারে মীর হামজাকেও পুল করে মারেন আরেকটি চার।
১০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজ ও তামিম গড়েছিলেন ৪৪ রানের দারুণ জুটি। কিন্তু পরপর দুই ওভারে ফিরে যান দুজনই। প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই হাফিজকে (১৪ বলে ২৫) বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে নওয়াজকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে কোহলের-কাদমোরের দারুণ এক ক্যাচে ফেরেন তামিম। ২৯ বলে ৫ চারে ২৭ রানের ইনিংসটি সাজান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর লিয়াম ডসনের ৬২ রানের সুবাদে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১৫৭ রান করেছে পেশোয়ার। মাহমুদউল্লাহ ২ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।
১৫৮ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় কোয়েটা। তারপর অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ মোহাম্মদ নেওয়াজকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন।
তবে দলীয় ৮০ রানে মোহাম্মদ নেওয়াজ ৩৫ রান করে সামিন গুলের বলে উমাইদ আসিফকে ক্যাচ দিলে এই জুটি ভাঙে। একই ওভারে ৩৫ রান করে সরফরাজ আহমেদ ফিরে গেলে উইকেটে আসেন টাইগার তারকা মাহমুদুল্লাহ।
নেমেই রাইলি রুশোকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ১৫তম ওভারে উমাইদ আসিফের বলে বোল্ড হয়ে ২০ বলে ১৯ রান করে ফিরেন তিনি। এরপর নামেন থিসারা পেরেরা তিনি ১১ বলে ১২ রান করে ফিরেন।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা। আর এতেই ১ রানে ১ম এলিমিনেটর ম্যাচে জয় পায় তামিমের পেশোয়ার জালমি।