সকল স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনে শুরু হচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানজনক ‘ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ’ (ডিপিএল)। টুর্নামেন্টটি মুলত দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটারদের আয়ের প্রধান উৎস। ঘরোয়া ক্রিকেটের জনপ্রিয় এ আসরটি এবার অনুষ্ঠিত হবে নবরুপে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছরের ডিপিএলের নামকরণ করা হয়েছে- ‘বঙ্গবন্ধু ডিপিএল স্পন্সর বাই ওয়ালটন’। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ টি দলকে লিগে অংশ নিচ্ছে।
সোমবার (৩১ মে) থেকে ঢাকার সেরা ক্লাবগুলো লড়াই শুরু করবে তিনটি ভেন্যুতে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বিকেএসপি-৩ এবং বিকেএসপি-৪ নম্বর মাঠে। প্রতি ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচ শুরু হবে সকাল ৯টায়। আর দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর প্রথম রাউন্ডের পর লিগটি স্থগিত হয়ে যায়। ফলে এবার দলগুলো একই রকম থাকতে। আগের ক্লাবেই খেলবেন ক্রিকেটাররা। নতুন ফ্রি খেলোয়াড় (যারা আগের বছর খেলেননি) হিসেবে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবার লিগের ফরম্যাটেও আনা হয়েছে পরিবর্তন।
আসরের প্রথম দিনে মিরপুরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড মুখোমুখি হবে পারটেক্স লিমিটেডের। একই ভেন্যুতে আরেক ম্যাচে লড়বে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতি।
এছাড়া বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হবে ওল্ড ডিওএইচএস ও লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে প্রাইম ব্যাংক ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আর বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে খেলবে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
এবার পুরো মৌসুম জুড়েই পাওয়া যাবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। ফলে এবারের লিগটি পেতে যাচ্ছে নতুন উন্মাদনা।
কোভিড-১৯ মহামারী থেকে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য পুরো আসরটি জৈব-সুরক্ষা বলয়ে অনুষ্ঠিত হবে। খেলোয়াড়, আম্পায়ার এবং কর্মকর্তাদের রাখতে ইতোমধ্যে চারটি হোটেল বেছে নিয়েছে বিসিবি। প্রতিটি দলের জন্য একটি বাসও ঠিক করে দিয়েছে বোর্ড।
ঢাকা ক্লাবগুলোর অভিভাবক ঢাকা মহানগরীর ক্রিকেট কমিটির (সিসিডিএম)চেয়ারম্যান কাজী ইনাম বলেছেন, ‘লিগের সাথে জড়িত, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং অন্যান্যদের কঠোরভাবে জৈব-সুরক্ষা বলয় মেনে চলতে হবে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে, বিসিবি অত্যন্ত কঠোর হবে।’
প্রত্যেক দলের মোট ১৭ জন করে হোটেলে বায়ো-বাবলে থাকতে পারবেন। তবে তাদের মাঝে কেউ ইনজুরি বা অন্য কোন সমস্যা হলে চুক্তিবন্ধ খেলোয়াড় থেকে ক্লাব পরিবর্তন করতে পারবে।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বায়ো-বাবলে থেকে খেলা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বোর্ড। তারা হোটেলে সিঙ্গেল রুমে থাকতে পারবেন। একই সাথে চাইলে স্ত্রীকেও রাখতে পারবেন। তবে দুইবার করোনা পরীক্ষা দিয়ে নেগেটিভ হতে হবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]