নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের কাছে শেষ বলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আর এ হেরে যাওয়ার পেছনে ১৯তম ওভারের রুবেলের বোলিং-কে সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন টাইগার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সবর হয়েছে রুবেল হোসেনের অতীত নিয়েও।
বাংলাদেশ এতো কাছে গিয়েও ট্রফি বঞ্চিত হওয়ায় নিজেকে দায়ী ভাবছেন রুবেল হোসেনও। নিজে ভেরিফায়েট ফেসবুক পেইজে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই খুব খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে আমি কখনোই ভাবিনি আমার কারণে বাংলাদেশ দল জয়ের এত কাছে এসেও ম্যাচ থেকে এভাবে ছিটকে যাবে। সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন সবাই।’
ফাইনাল ম্যাচে অধিনায়ক সাকিব যখন ১৯তম ওভারে রুবেলের হাতে বল তুলে দেন তখন ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ বলে ৩৪ রান। তবে আগের ৩ ওভারে মাত্র ১৩ দেয়া রুবেল হোসেন যেন খেই হারিয়ে ফেলেন। রুবেল ১৯তম ওভারেই দিয়ে বসেন ২২ রান! মূলত সেই ওভারেই জয়ের কাছ থেকে দূরে চলে যায় বাংলাদেশ।
রুবেলের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন মাত্র ক্রিজে আসা দিনেশ কার্তিক। পরের বলে চার, তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা। পরের দুই বল থেকে ২ রান। তবে শেষ বলে আবারও চার মেরে খেলাটাকে পুরোপুরি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নেয় ভারত। রুবেলের ওভারের ২২ রান তোলা দিনেশ কার্তিক শেষ বোলার হিসেবে আসা সৌম্য সরকারের শেষ বলে ছক্কা হাকিয়ে তজয নিশ্চিত করেন।
১৯তম ওভারে রুবেলের ২২ রানই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ভারতের। তবে রুবেল বা সৌম্য সরকারকে দোষ দিতে রাজি নন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। রুবেল বা সৌম্যর প্রতি তার আস্থা অবিচল সেটি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।
রোববার ম্যাচ শেষেই সাকিব বলেন, ‘সত্যি বলতে সে (রুবেল) খুব বেশি খারাপ করেনি। যেখানে বল করার পরিকল্পনা ছিল, তার থেকে একটু সরে গেছে। এটা হতেই পারে। আমি জানি না, ইতিহাসে কতজন ব্যাটসম্যান আছেন যারা এসেই প্রথম বলে ছক্কা পরের বলে চার এরপর আবার ছক্কা হাঁকান! কিন্তু কার্তিক সেটাই করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই রুবেল প্রথম দুই বলে ১০ রান নেওয়ার পর নার্ভাস হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখনও আমি ভাবি, আমি ভবিষ্যতেও এমন পরিস্থিতিতে রুবেলের হাতে বল তুলে দেব।’