নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন ভঙ হওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শ্রীলঙ্কা জুড়ে। খেলা শেষে ‘ভাঙচুর’ চালিনো হয়েছে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে।
ম্যাচটি চরম উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। স্টেডিয়ামটির কাণায় কাণায় পূর্ণ ছিল শ্রীলঙ্কার দর্শক ও সমর্থকরা। উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে খেলার শেষ ওভারে এসে। শেষ ২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ৬ রানের। ব্যাট হাতে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি পেসার ইসুরু উদানার করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলটি মাঠে বাইরে পাঠিয়ে ছক্কা আদায় করে নেন মাহমুদুল্লাহ। আর এ ছক্কাতেই শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।
শুধু এখানেই শেষ নয়, এর আগে ঘটে আরও ভিন্ন ঘটনা। মোস্তাফিজ রান আউট হয়ে গেলে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন রুবেল হোসেন। তবে আম্পায়ারদ্বয় মাহমুদুল্লাহকে স্ট্রাইকে না দিয়ে দেন রুবেল হোসেনকে। আর এতে আপত্তি জানান মাহমুদুল্লাহ। খেলা থেকে বিরত থাকেন মাহমুদুল্লাহ ও রুবেল। এছাড়া মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে তাদেরকে চলে আসতে বলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চলে উত্তেজনা। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর আম্পায়ররা ‘ভুল স্বীকার’ করে সেই মাহমুদুল্লাহকেই স্ট্রাইকেই খেলতে দিতে রাজি হন।
খেলা শেষে তর্কে জড়িয়ে যান নুরুল হাসান ও থিসেরা পেরেরা
১ বল হাতে রেখে ছক্কা হাকিয়ে জয় তুলে নেন মাহমুদুলল্লাহ। গ্যালারি দর্শকরা শোকে নিস্তবদ্ধ হয়ে গেলেও কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করে খেলোয়াড়দের মাঝে। বাংলাদেশের খেলোয়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশের একাদশের বাহিরে থাকা ক্রিকেটার নুরুল হাসান ও থিসেরা পেরেরা নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে যান।
এর পরেই কোন এক সময় বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে হামলা চালানো হয়। হামলায় ড্রেসিং রুমের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক বা কেউ আহত হয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো বলছে, ‘ড্রেসিং রুমে ভেতর থেকে কেউ ভেঙে থাকতে পারে। জয়ের কারণে ‘অতি উচ্ছ্বাস’ থেকেও এমনটি হতে পারে।’
কলম্বোতে অবস্থান করা বিবিসির রিপোর্টার আজম আমিন তার ফেসবুকে দু’টি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের উত্তাপের পর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ড্রেসিং রুমের দরজা ভেঙে যায়।’
তবে ঘটনাটি পুরোপুরি জানতে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন।