নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ২১৫ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগায় শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা ও কুশল মেন্ডিজ। বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হয়ে মাত্র ২৭ বল মোকাবেলায় উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২৬ রানে থাকা গুনাথিলাকার উইকেট উপড়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
শুরুতে দ্রুত রান তোলার কাজটা পরবর্তীতে অব্যাহত রাখেন মেন্ডিজ ও কুশল পেরেরা। তাই ১০ দশমিক ২ ওভারেই শতরান পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দলকে তিন অংকে পৌঁছে দিয়ে রানের পেছনে ছুটেছেন মেন্ডিস ও পেরেরা। সেই সাথে দু’জনই স্বাদ নেন হাফ-সেঞ্চুরির। ২৬ বলে টি-২০ ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মেন্ডিজ।
ছয় বোলারকে ব্যবহার করেও মেন্ডিস-পেরেরা জুটি ভাঙ্গতে পারছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। তাই বাধ্য হয়েই দলের সপ্তম বোলার হিসেবে ১৪তম ওভারে আক্রমণে আসেন টাইগার দলপতি। নিজের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই মেন্ডিজকে থামান মাহমুদুল্লাহ। ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩০ বলে ৫৭ রান করেন মেন্ডিজ। পেরেরার সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৮৫ রান যোগ করেন মেন্ডিজ।
এরপর উইকেটে আসেন দাসুন শানাকা। এক বল পর আবারও বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারি মাহমুদুল্লাহ’র। তাই মেন্ডিজের মত একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে একই ফিল্ডার সাব্বির রহমানের তালুবন্দি হন শানাকা। তাই শূন্য হাতে ফিরে যেতে হয় শানাকাকে।
চার বলের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার ২ উইকেট তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে বাংলাদেশ। তাই চতুর্থ সাফল্যের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। তৃতীয় দফায় পেসার তাসকিন আহমেদকে আক্রমএণ এনেই সাফল্য তুলে নেন মাহমুদুল্লাহ। তাসকিনের বলে সাব্বিরকে ক্যাচ দিয়ে নামের পাশে ২ রান রেখে ফিরেন অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল।
১৪১ থেকে ১৫০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলংকা। কিন্তু লঙ্কানদের চাপে পড়তে দেননি পেরেরা ও উপুল থারাঙ্গা। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশ বোলারদের উপড় আরও চড়াও হয়েছেন তারা। মাত্র ২৬ বল মোকাবেলা করে ৫৫ স্কোর বোর্ডে জড়ো করেন পেরেরা ও থারাঙ্গা।
ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে পেরেরা-থারাঙ্গাকে বিচ্ছিন্ন করেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া ইনিংসে ৪৮ বলে ৭৪ রান করেন পেরেরা। তার ইনিংসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। থিসারা পেরেরাকে শূন্য হাতে ফেরান তিনি। তবে ১৫ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন থারাঙ্গা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৪ রান পায় শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে চতুর্থ। বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজ নেন ৩ উইকেট ।