দীর্ঘ দিন পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফেরার দিনে হারের স্বাদ পেলেন টাইগারদের সাবেক ও সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। অন্যদিকে সাকিব-মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহদের হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান আরও পোক্ত করলো মিঠুনের গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) টুর্নামেন্টের ১৬তম এবং নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন জেমকন খুলনাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬২ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।
প্রায় ৯ মাস পর এ ম্যাচ দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফিরছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে ম্যাচটি জয়ে রাঙাতে পারেননি। ব্যাট হাতে নিজের প্রথম বলেই ১ রান নিলেও রান আউটে কাটা পড়ে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। এছাড়া বল হাতে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছে েএকটি উইকেট।
তার আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৩ রান পায় খুলনা। জাকির হাসান ১৫ রানে (১৫ বল) করে ফিরে গেলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এরপর দলীয় ৫২ রানে আরেক ওপেনার জহুরুল ইসলাম (১৯ বলে ২৬) ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা।
তৃতীয় উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফিরেন মাশরাফি (১)। এছাড়া ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে আজও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মাশরাফির পর দলীয় ৬৬ রানে ফিরেন তিনি। ১৬ বল মোকাবেলা করে ১৫ রান করেন সাকিব।
এছাড়া ইমরুল কায়েস ২৩ বলে ২৪, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৭ বলে ২৬ এবং শেষ দিকে শুভাগত হোমের অপরাজিত ১৪ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা।
১৫৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম নিয়মিতভাবে উইকেট হারানোর ফলে শেষ দিকে ম্যাচটি কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ দুই ওভারের নাটকীয়তার পর শেষ হাসি হাসে চট্টগ্রাম। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ বলে ছয় হাকিয়ে চট্টগ্রামকে জয়ের স্বাদ দেন শামসুর রহমান শুভ।
জয়ের জন্য চট্টগ্রামের শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ২৫ রান। শুভাগত হোমের করা প্রথম বলে ক্যাচ তুলেছিলেন নাহিদুল ইসলাম। তবে কভারে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ছাড়েন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের চার বলে দুই ছক্কাসহ নাহিদুল তোলেন ১৪ রান। তেব শেষ বলে বিলিয়ে আসেন উইকেট।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে চট্টগ্রামের প্রয়োজন পড়ে ৯ রান। শেষ ওভারে মোস্তাফিজ স্ট্রাইকিংয়ে এসে আল আমিনের বলের সঙ্গে ব্যাটের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হলে ৫ বলের বিপরীতে প্রয়োজন হয় ৯ রানের। পরের বলটিকেই সীমানা ছাড়া করে ম্যাচে নতুন মোড় এনে দেন কাটার মাস্টার। এর পরের বল থেকে এক রান নিয়ে নন স্ট্রাইকিং অ্যান্ডে চলে যান ফিজ।
তবে নিয়মিত ব্যটসম্যান শুভ একটি মাত্র রান নিয়ে ফের জায়গা বদল করলে শেষ দুই বলের বিপরীতে জয়ের জন্য ৩ রানের প্রয়োজন হয়। এবার বলের সাথে ব্যাটের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন ফিজ। তবে স্থান পরিবর্তনের জন্য দৌড় দেন তিনি। এ সময় তাকে রান আউটের সুযোগ পেয়েও বল উইকেটে লাগাতে ব্যর্থ হন খুলনার উইকেটরক্ষক।
ফলে শেষ বলে দুই রানের প্রয়োজন পড়ে স্ট্রাইকিংয়ে ফেরা চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত ব্যটসম্যান শুভ। এবার আর ভুল করেননি। আল আমিনের শেষ বলটি সিমানা ছাড়া করে দলকে পঞ্চম জয় এনে দেন তিনি। শামসুর রহমান শুভ ৩০ বলে অপরাজিত ৪৫ রান করেন। ফলে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
এর আগে ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সৌম্য সরকার ১৯, মাহমুদুল হাসান জয় ২৪, মোহাম্মদ মিঠুন ২৩, মোসাদ্দেক হোসেন ১২, নাহিদুল ইসলাম এবং মোস্তাফিজ ৫ রান করেন।
এ জয়ে শীর্ষস্থানে থাকা চট্টগ্রাম তাদের আসনকে আরও পোক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ছয় ম্যাচের ৫ জয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। অপরদিকে এক ম্যাচ বেশি অর্থাৎ ৭ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারকা সমৃদ্ধ জেমকন খুলনা।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস]