বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বেক্সিমকো ঢাকা নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই পরাজয়ের হ্যাটট্রিক করেছে। এবার পর পর দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ দিল ঢাকা। টুর্নামেন্টের ১২তম ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে ২৫ রানের জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় নাজমুল হাসান শান্তর নিনিস্টার রাজশাহী।
প্রথম দু’ম্যাচ জয়ের পর হ্যাটট্টিক হারের স্বাদ পেল রাজশাহী। তবে ঢাকা ম্যাচ জিতে পয়েন্ট অর্জন করলেও টেবিলে এগিয়ে যেতে পারেনি তারা। এ জয়ে ৫ খেলায় ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানেই রয়েছে ঢাকা। একই চিত্র রাজশাহীর। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় ঢাকার আগে তৃতীয় স্থানে তারা।
দিনের দ্বিতীয় এ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ঢাকার দুই ওপেনার নাইম হাসান ও মোহাম্মদ নাইম। নাইম হাসান ১ ও মোহাম্মদ নাইম ৯ রান করে ফিরেন। দুই ওপেনারের পর ব্যর্থ হয়েছেন চার নম্বরে নামা তানজিদ হাসানও। ২ রানে তানজিদ আউট হলে ৪৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। তবে তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছেন।
সফল হতে না পারলেও দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি। দলীয় ৬৪ রানে মুশফিক বিদায় নিলে জুটি বাঁধেন ইয়াসির ও আকবর। তখন ইনিংসের ৫৯ বল বাকি ছিল। রাজশাহীর বোলারদের তুলোধুনো করে ইয়াসির-আকবর জুটি ৫৪ বল খেলে ১০০ রান যোগ করেন।
৯টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের মারমুখী ইনিংসটি সাজান ইয়াসির। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেছেন আকবর। দলকে ১৭৫ রানের সংগ্রহ এনে দিতে মহাগুরুত্বপুর্ন অবদান রাখেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর। ৩টি চার ও ২টি ছক্কা হাকান তিন। রাজশাহীর পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম।
১৭৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানের মধ্যে টপ-অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে হারায় রাজশাহী। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫, আনিসুল ইসলাম ইমন ৬ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১ রান করে আউট হন। সতীর্থদের ব্যর্থতার পর দলকে লড়াইয়ে ফেরান রনি তালুকদার ও ফজলে মাহমুদ। ঢাকার বোলারদের বিপক্ষে মারমুখী হয়ে উঠেন তারা। তবে সেটিও যথেষ্ট ছিল না। ফলে ধীরে ধীরে আস্কিং রেটও বেড়ে যায় রাজশাহীর।
১২তম ওভারে এ জুটিতে ভাঙন ধরিয়ে ঢাকাকে ব্রেক-থ্রূ এনে দেন মুক্তার আলী। ২৪ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪০ রান করা রনিকে বোল্ড করেন মুক্তার। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে তা এবার আর কাজে লাগাতে পারেনি হার্ড-হিটার মেহেদী হাসান। ১ রান করে মুক্তারের দ্বিতীয় শিকার হন মেহেদী।
মেহেদীর পর হাফ-সেঞ্চুরি করা ফজলে মাহমুদের আউট ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় রাজশাহীকে। এবারও ঢাকাকে উইকেট শিকারের আনন্দে ভাসান মুক্তার। ৪০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৮ রান করেন ফজলে।
দলকে জয় এনে দেওয়ার মতো দায়িত্ব পালন করতে পারেনি রাজশাহীর নিচের দিকে অন্য কোন ব্যাটসম্যান। নুরুল হাসানের ১১ ও ফরহাদ রেজার ২টি ছক্কায় ৪ বলে ১৪ রান রাজশাহীর হারের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। ঢাকার পক্ষে ৪ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নেন মুক্তার। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ব্যাট হাতের দলের সংগ্রহে অবদান রাখা ইয়াসির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বেক্সিমকো ঢাকা : ১৭৫/৫, ২০ ওভার (ইয়াসির ৬৭, আকবর ৪৫*, মুকিদুল ২/৩৮)
মিনিস্টার রাজশাহী : ১৫০/১০, ১৯.১ ওভার (ফজলে ৫৮, রনি ৪০, মুক্তার ৪/৩৭)।
ফল : বেক্সিমকো ঢাকা ২৫ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : ইয়াসির আলি (বেক্সিমকো ঢাকা)।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]