তিন ম্যাচের প্রথম দুটি হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল সফররত অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচ সামনে রেখে শঙ্কা জেগেছিল হোয়াইটওয়াশের। তবে সেটি আর হয়নি। উল্টো স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ফলে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জবাবে ৩ বল বাকি রেখেই ৫ উইকেটে ১৪৬ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাট করতে নেমে খুব একটা ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ওপেনার টম ব্যান্টনকে ২ রানে হারানো পর হাল ধরে জনি বেয়ারেস্ট ও ডেভিড মালাল। তবে জনি বেয়ারেস্ট ৫৫ রান করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি মালাল। ১৮ বলে ২১ রান করেই সাহঘরে ফেরেন তিনি।
জনি বেয়ারেস্ট ও ডেভিড মালান ছাড়া ইংল্যান্ডের আর মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান রানের সংখ্যা দুইয়ে নিতে পেরেছেন। নিয়মিত অধিনায়ক ইয়ান মরগান না থাকায় এ ম্যাচে নেতৃত্বে দেওয়া মঈন আলী ২১ বলে করেন ২৩ রান। অন্যদিকে জো ডেনলি অপরাজিত থেকে ১৯ বলে ২৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৪৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করে সফরকারীরা। ম্যাচের একাদশে ডেভিড ওয়ার্নার না থাকায় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্জের সাথে ওপেনিং করতে নামেন ম্যাথু ওয়েড।৯ বলে ১৪ রান করে তিনি ফিরে গেলে দলীয় ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম উইকেট হারিয়ে অধিনায়কের সাথে ৩৯ রানের পার্টনাশীপ গড়েন মার্কাস স্টোয়নিস। ১৮ বলে ২৬ রান করে স্টোয়নিস ফিরে যান। এরপর অবশ্য হারের শঙ্কা জাগে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। ১১তম ওভারে দলীয় ৮৭ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ফিঞ্জ। ২৬ বলে ৩৯ রান করে এ অসি অধিনায়ক।
চার উইকেট হারিয়ে দলের হারের শঙ্কা থেকে রক্ষা করেন মিচেল মার্শ ও অ্যাস্টন আগার। শেষ দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে তারা দু’জন। ৩৬ বলে ম্যাচ সেরা এ ব্যাটসম্যান ৩৯ রান করেন। অন্যদিকে ১৩ বলে ১৬ রান করে জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন আগার। দুজনেই অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এদিকে সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে জয় পাওয়ায় হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে দুয়ে থাকা ইংল্যান্ডের রেটিং ২৭১। এ ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পেলেই শ্রেষ্ঠত্ব হারাতো অস্ট্রেলিয়া।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]