ধরে খেলে চলে গিয়েছিলেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। তবে ঘটে হঠাৎ ছন্দপতন, ফলে শেষটা আর রাঙাতে পারেননি টাইগার তারকা তামিম। ম্যাচ শেষে সব আলো চলে যায় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ৪ বলে ১৬ রান নিয়ে কোয়েটার বিপক্ষে পেশোয়ার জালমিকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিলেন ক্যারিবিয়ান এ তারকা।
শারজাহতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কোয়েটার। দলীয় ১০ রানেই সাজঘরে ফিরে যান আসাদ শফিক। দ্বিতীয় উইকেটে উমর আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন ওয়াটসন। তবে ১১ রান করে ফিরে যান উমর আমিন।
এরপর দ্রুত ফিরে যান ৫ ছয় ও ১ চারে ৩২ বলে ৪৭ করেন শেন ওয়াটসন। ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন আগের ম্যাচে দলকে জয়ে এনে দেয়া পিটারসন। তবে শেষ দিকে রাইলি রুশো ২৫ বলে ৩৭ আর সরফরাজ আহমেদ ১৭ রান করলে ২০ ওভারে ১৪১ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। পেশাওয়ারের উমাইদ আসিফ, ওয়াহাব রিয়াজ ও স্যামি নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই কামরান আকমলকে হারায় পেশোয়ার। ১৪ বলে ২৩ করে ফেরেন ডোয়াইন স্মিথও। তবে একপ্রান্ত ধরে রেখে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৩৪ বলে ২৯ রান করে ফেরেন হাফিজ। একটু পর দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় তামিম হন রান আউট। ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৯ বলে ৩৭।
শেষ ১২ বলে পেশোয়ারের দরকার ছিল ২২ রানের। নিজের প্রথম ম্যাচেই সাব্বিরের সামনে ছিল নায়ক হওয়ার সুযোগ। বাঁহাতি পেসার রাহাত আলিকে চার মেরে আশাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই ফুল টসে ক্যাচ দেন সীমানায়। ১১ রান করেছেন ১১ বলে।
চোট নিয়েই তখন ব্যাটিংয়ে নামেন স্যামি। তখন দলের প্রয়োজন ৭ বলে ১৬। প্রথম বলেই ছক্কা! শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০। আনোয়ার আলির দ্বিতীয় বলে পুল করে আবার স্যামির ছক্কা। পরের বলে মিড অফ দিয়ে গুলির বেগে চার। উল্লাসে মাতে পেশোয়ার।