দেশকে গুরুত্ব না দিয়ে চলমান পিএসএলে খেলছেন কাইরন পোলার্ড, সুনিল নারাইন, অ্যান্ড্রু রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন স্যামির মতো ক্রিকেটাররা। সেখানে তাদের চেয়ে টি-টোয়েন্টির বড় তারকা হয়েও ভিন্ন পথে হাঁটলেন ক্রিস গেইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার জন্য জনপ্রিয় এ টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন না তিনি!
আগামী বছর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সেরা আটের মধ্যে না থাকায় সরাসরি সেই বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেখানে খেলতে বাছাইপর্বের বৈতরণী পার হয়ে আসতে হবে ক্যারিবীয়দের। সাবেক দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য বিষয়টি বেশ লজ্জাকর।
তবু দেশের হয়ে খেলতে নারাজ পোলার্ড, নারাইন, রাসেল, ব্রাভো, স্যামিরা। তাদের কাছে যেন দেশের চেয়ে পিএসএল বড়! অবিশ্বাস্য হলেও সত্য- দলের এ বিপর্যয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন গেইল। সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ মারলন স্যামুয়েলস। খাদের কিনারায় পড়ে থাকা দলকে টেনে তুলতে বাছাইপর্বে খেলতে নাম লিখিয়েছেন তারা।
আগামী ৪ মার্চ জিম্বাবুয়েতে শুরু হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। তা সামনে রেখে দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি)। স্কোয়াডে রয়েছেন গেইল-স্যামুয়েলস। ১০ দলের বাছাইপর্বে বিখ্যাত মেরুন জার্সিতে দেখা যাবে তাদের।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগের ফেরিওয়ালা গেইল-স্যামুয়েলস। যেখানেই গেছেন নিজেদের মতো করে আসর মাতিয়েছেন। তবে এ পরিস্থিতিতে দেশের ডাকই তাদের কাছে বড় বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার।
তিনি বলেন, আমি অবশ্যই ক্রিস ও মারলনের প্রশংসা করব। তারা দুর্দান্ত খেলে উইন্ডিজকে আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ করে দিতে চান। ওরা ডেরায় ভেড়ায় আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে। আশা করি, বাছাইপর্বের উত্তরণ ঘটাতে পারব।
একে দলের সবার জন্য সুযোগ হিসেবে দেখছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক, যারা অভিজ্ঞ, ভালো খেলে ক্যারিয়ার শেষ করার সুযোগ এটি তাদের। যারা তরুণ, ভালো খেলে নিজেদের প্রমাণ করা মঞ্চ এটি তাদের।
দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলবে ১০ দল। প্রতি গ্রুপে থাকবে পাঁচ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পড়েছে ‘এ’গ্রুপে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাপুয়া নিউগিনি ও হল্যান্ড। বাছাইপর্ব থেকে দুটি দল জায়গা পাবে ২০১৯ বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে।