অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সংযুক্ত আবর আমিরাতে মাটিতে বিশ্বর সবচেয়ে বড় ও জমজমাটপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। যার জন্য ইতোমধ্যে ভারত সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে বিসিসিআই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার পর থেকে আইপিএল আয়োজনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতে করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। যে কারণে বেশ কয়েকদিন আগে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়েছে ভারত।
ভারতের চিঠি পাওয়ার পরও ভারত সরকারের দিকে তাকিয়েছিল ইসিবি। অবশেষে স্বস্তি মিলেছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মাঝে। কারণ, রোববার (২ আগস্ট) আইপিএল আয়োজনের জন্য অনুমতি দেয় ভারত সরকার। এবার অপেক্ষা কেবলই মাঠে গড়ানোর।
রোববারের বোর্ড মিটিং থেকে সিদ্ধান্ত হয় যে, সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ শুরু হয়ে আইপিএলে শেষ হবে নভেম্বরের ১০ তারিখে। এর আগে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল অবশ্য জানিয়েছিলেন, আইপিএল শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। যা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে আইপিএলের ফাইনালের তারিখে আনা হয়েছে পরিবর্তন।
৫৩ দিনের দীর্ঘ এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৬০টি। দেশের তিনটি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো। ভেন্যু তিনটি হলো, আবুধাবি, শারজাহ ও দুবাই। প্রতিবারের ন্যায় এবারও আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে চীনা মোবাইল কোম্পানি ভিভো। এবারের ম্যাচ এগিয়ে আনা হয়েছে আধ ঘন্টা। আইপিএলের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের সময় বেলা সাড়ে তিনটায়। অন্য ম্যাচের বল মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
দশদিন এক দিনে দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক দলের স্কোয়াডে থাকবে ২৪ জন ক্রিকেটার। তবে করোনার কারণে দরকার পড়লে নতুন করে ক্রিকেটার আনতে পারবে দলগুলো। যত জন দরকার পড়বে নিতে পারবে।
করোনার এমন সময়ে কোন ক্রীড়া ইভেন্টে দর্শক না থাকলেও আইপিএলে দর্শক রাখার কথা ভাবছে আরব আমিরাত। কয়েকদিন আগে ইসিবির সেক্রেটারি মুবাশশির উসমানি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছিলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই আমাদের দর্শকদের মর্যাদাপূর্ণ আসরের অভিজ্ঞতা হোক। কিন্তু এর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সরকারের ওপর নির্ভরশীল। এখানে বেশিরভাগ ইভেন্টের ক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় এবং আমরা ওই পরিমাণই চাচ্ছি। সরকারের অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]