সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে বেশ সাফল্য পাচ্ছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। তবে নিজের সাফল্যের পিছনে আরেক পেসার এবাদত হোসেনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে মনে করছেন রাহী। তিনি বলেন, সতীর্থ এবাদতের কঠোর পরিশ্রম বড় ফরম্যাটে তাকে উইকেট পেতে সহায়তা করছে।
টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়ার জন্য যখন ভালো মানের পেসার প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, তখনই দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন রাহী। বাসসকে রাহী বলেন, ‘আমি যদি টেস্ট ক্রিকেটে সফল হই, তবে এর জন্য কৃতিত্ব আমার বোলিং পার্টনার এবাদত হোসেনকেও দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘তিনি(এবাদত) এমন একজন বোলার, যার বোলিং আমাকে ভালো করার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তার প্রধান অস্ত্র গতি এবং প্রায়ই গতি দিয়ে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলে থাকেন তিনি। তার মতো গতি আমার নেই। এবাদতকে খেলার পরে, ব্যাটসম্যানরা আমরা বিপক্ষে ঝুঁকি নিচ্ছে, যা আমাকে উপকৃত করেছে। কখনও কখনও ব্যাটসম্যানরা দ্বিধায় পড়েন, এবাদতের গতির পর আমার কম গতি মুখোমুখি হতে হয় তাদের।’
মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ শুরুতে ঝলক দেখালেও অধারাবাহিকতার কারণে কেউই টেস্ট ফরম্যাটে নিজেদের সেভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। তাই দলে রাহীর আগমনটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মত। টেস্টে একত্রে দীর্ঘ স্পেলে বোলিং করতে পারে এমন একটা পেস জুটি পাওয়ার চেষ্টা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ ক্ষেত্রে তারা বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবাদত হোসেনকেই রাহীর উপযুক্ত বোলিং জুটি হিসেবে পেয়েছে।
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট অভিষেক হয় এবাদতের। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার কারণে পুরোপুরি শেষ করা যায়নি সফরটি। এখন পর্যন্ত ৬টি টেস্টে জুটিবদ্ধ হয়ে খেলেছেন এবাদত ও রাহী, যা বাংলাদেশের টেস্ট বোলিং জুটির এক অনন্য রেকর্ড।
টিম ম্যানেজমেন্টের একটা ধারণা ছিল, অন্তত টানা পাঁচটি এক সাথে খেলার পেস জুটি পাওয়া যাচ্ছে না। কেন না লংগার ভার্সনে দেশের অনেক পেসারই খেলতে খুব বেশি ইচ্ছুক নন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু এবাদত-রাহী টিম ম্যানজমেন্টকে অন্তত এমন আস্থা যুগিয়েছে যে, টেস্টে সাফল্য অর্জনের দক্ষতা তাদের রয়েছে।
টানা ছয়টি টেস্ট খেলার পর রাহী বলেন, জুটিতে কিভাবে বল করতে হয় তারা সেটা জানেন। রাহি বলেন, ‘ব্যাটিং জুটি সর্ম্পকে আমরা অনেক কিছু শুনেছি। ব্যাটিংয়ের মত বোলিংয়েও জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এবাদতের প্রধান শক্তি হলো গতি। তবে রাহী উইকেটের দু’পাশেই সুইং করতে পারদর্শী, অনেকটা ইংল্যান্ডের পেসার জেমস এন্ডারসনের মত। ৯ টেস্টে ২৪ উইকেট নিয়ে সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছেন রাহী। কিন্তু এবাদত তেমনটা পারেননি। ৮৯ দশমিক ৩৩ গড়ে ছয় টেস্টে মাত্র ছয় উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা খুবই বাজে বোলিং গড়।
রাহী বলেন, ‘তার বলে গতি আছে, তাই ব্যাটসম্যানরা তাকে সাবধানে খেলেন। আমার যেহেতু গতি কম, তাই ব্যাটসম্যানরা আমাকে সহজে খেলার চেষ্টা করে এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, এর ফলে আমি অতিরিক্ত সুবিধা পাই।
কিন্তু কখনও কখনও ভাগ্যও এবাদতের পক্ষে থাকে না। আমি তার বেশ কয়েকটি ভালো স্পেলের কথা মনে করতে পারি, যেখানে তিনি উইকেট পেতে পারতেন, কিন্তু ফিল্ডারদের ভুলের কারণে হয়নি, তাই উইকেট সংখ্যাও বাড়াতে পারেননি।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]