করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। তাতে বিপাকে পড়েছে ক্রীড়াবিদরা। বিশেষ করে বললে মহাবিপাকে বোলাররা। করোনাভাইরাসের পরবর্তী সময়ে বলে থুথু বা ঘাম লাগাতে পারবে না বোলাররা। এটি প্রায় নিশ্চিত। আর তাতে সুইং নিয়ে বিপাকে পড়বে বোলাররা।
বল হাতে একজন বোলারের মূল ভরসা হলো, ইন-সুইং, আউট-সুইং ও রির্ভাস-সুইং। যা থুথু বা ঘাম দিয়ে বলের এক পাশকে উজ্জল রেখে যুগ-যুগ ধরে করে আসছে বোলাররা। কিন্তু ভবিষ্যতে বলে থুথু বা ঘাম লাগানো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে এখনই আক্ষেপ ঝড়েছে আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলার অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সের।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের আক্ষেপের কথা জানান কামিন্স। আইপিএলের ১৩তম আসরের জন্য কামিন্সকে ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনে কেকেআর। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি দামের ক্রিকেটার কামিন্স।
তিনি বলেন, ‘’একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে বল উজ্জ্বলতা ধরে রাখার অধিকার আমার আছে। যদি সেটি না-ই করতে পারি, তবে দলে পেসারদের কোন মূল্য থাকলো না। পেসাররা কোন সুবিধাই পাবে না, ব্যাটসম্যানরা অনায়াসে রান করে যাবে।’
এই সুইংয়ের জন্যই ক্রিকেটপ্রমিরা টেস্টকে পছন্দ করেন। ওয়ানডেকেও পছন্দ করেন সকলে। এ ব্যাপারে কামিন্স বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট কেন সবাই পছন্দ করে? কারণ এর অনেক শৈল্পিক দিক আছে। এখানে সুইং বোলার থাকে, স্পিনার থাকে। কিন্তু পেস বোলাররা বল শাইনিং করতে না পারলে সুইং, রিভার্স সুইং কিছুই করতে পারবে না। এতে টেস্ট ক্রিকেটের তার সৌন্দর্য হারাবে।’
পেসাররা সুইং করতে না পারলে ক্রিকেট তার সৌন্দর্য হারাবে। কিন্তু সুইং ছাড়াই ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে পরিচালনাকারীরা সকলেই অস্থির হয়ে উঠেছে। এতে ক্ষোভ ঝাড়লেন কামিন্স।
তিনি বলেন, ‘সুইং না করতে পারলে বোলাররা বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাঠে খেলা ফিরলে বোলারদের দলের জন্য কিছুই করার থাকবে না। ব্যাটসম্যানরাই সকল সুবিধা পাবে। তাহলে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে মাঠে খেলা ফেরানোর কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলো কেন কোন সমাধান না করে ক্রিকেট ফেরাতে অস্থির হয়ে উঠেছে, আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয়, আয় লাভ ঠিক রাখতেই দ্রুত মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে ব্যস্ত তারা।’
খেলোয়াড় ও দলের অন্যান্য কর্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে এখনই মাঠে খেলা ফেরানোর পক্ষে নয় কামিন্স। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সকলের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে। এই পরিস্থিতিতে আমি কোনভাবেই খেলা হোক চাইবো না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থাকলে আমাদের খেলাও উচিত হবে না।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]