করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সকল খেলাধুলাই এখন বন্ধ। তবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, ওয়েবসাইটগুলোকে পুরনো আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো সম্প্রচার করছে। যুক্তরাজ্যের স্কাই স্পোর্টসও আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে স্মৃতিচারণ করছে।
ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে চ্যানেলটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন অধিনায়ক জো রুট-বেন স্টোকস-জনি বেয়ারস্টো ও ক্রিস ওকস।
সেখানে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিডসে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্টোকসের ম্যাচজয়ী ইনিংসটি দেখানো হয়। এছাড়া বিশ্বকাপের ফাইনালে স্টোকসের বীরচিত ইনিংসও ছিল।
ইনিংস দু’টি দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস। পুরনো ভিডিও শেষে স্টোকস চমকে দেয়ার মত তথ্যই দিলেন। আর সেটি হলো, ‘এই প্রথমবার ইনিংসের প্রতিটি বল দেখলাম। এটা সব সময়ই অসাধারণ এক স্মৃতি হয়ে থাকবে। জীবনের অন্যতম সেরা দিন।’
স্টোকস আরও বলেন, ‘শুধু মাঠের স্মৃতিই নয়, একটি দল হিসেবেই আমাদের সেদিনের সব স্মৃতি মনে থাকবে। ড্রেসিংরুমটা যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই খুব পবিত্র একটি জায়গা। আর সেই সন্ধ্যায় দিনের খেলা শেষে সেখানে রোমাঞ্চকর এক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেদিন কী হয়েছিল সেই স্মৃতিটা আমাদের সবারই মনে থাকবে।’
লিডসে ঐ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুখ থুবড়ে পড়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের। মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা। এরপর প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রান করে ইংল্যান্ডকে ৩৫৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৮৬ রানেই নবম উইকেট হারিয়ে বসে ইংলিশরা। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান জ্যাক লিচকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান স্টোকস। শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রান যোগ করেন স্টোকস-লিচ। এরমধ্যে মি. এক্সট্রা ও লিচের অবদান ছিলো ১ রান করে। বাকী ৭৪ রান করেন স্টোকস।
শেষদিকে এসে ছক্কায় ইংল্যান্ডকে অবিস্মরনীয় জয়ের স্বাদ দেন স্টোকস। ঐ ভিডিও ক্লিপটি যখন দেখানো হচ্ছিল উত্তেজনায় স্টোকস সাধারণ দর্শকের মতো বলে ফেলেন, ‘যা, যা, যা।’
ঐ টেস্টে মহাকাব্যিক ইনিংসের জন্য স্টোকসকে ভাগ্যবানই ভাবছেন রুট। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন এর আগে রিভিউ নষ্ট করেছেন, আর সেটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন রুট, ‘আমাকে যদি বলতে বলেন, তবে আমি বলব এটি (পেইনের রিভিউ) সর্বকালের সেরা সিদ্ধান্ত। যে ভুলটা করেছেন তাতে তো মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার অবস্থা হওয়ার কথা।’