৩৩৯ রান, হাতে ১০ উইকেটসহ প্রায় দুইদিন। তাতে কী, আর কত? শরীর আর চলছে না। তাই তো অর্ধেক দিনের মধ্যেই শ্রীলঙ্কা বোলারদের কাছে নিজের সবগুলো উইকেট দিয়ে দিল বাংলোদেশ! তবে বিনিময়ে ১২৩ রান করতে ভুল করেনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একর পর এক সাজঘরে ফিরিয়ে ২১৫ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর এ জয়ে টেস্ট সিরিজে জয় তুলে নিলো সফররত দেশটি।
চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্ট খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। যদিও বলা হচ্ছে ঢাকা ক্রিজ বোলিং বান্ধব, তবে একই ক্রিজে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা তো ব্যাট করেছেন। ফলে এটা কোন অজুহাত হতে পারে না।
দুই টেস্ট সিরিজের ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ বোলারদের তোপে পরে সফররত শ্রীলঙ্কার করা ২২২ রানেই অলআউট হয়ে যায়। তবে বিপরীতে ১১০ রানেই প্যাকেট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংসেই ১১২ রানের লিড পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ২২৬ রান। ফলে আগের ইনিংসের লিড মিলিয়ে সহজেই বাংলাদেশের সামনে ৩৩৯ রানের বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারে লঙ্কানরা। তবে এ রান করতে বাংলাদেশ ১০ উইকেটসহ সময় প্রায় দুইদিন।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট হাতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। নিজের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতায় দেড় দিন বাকি রেখেই মাত্র ২৯ ওভার ৩ বলেই জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
দলের পক্ষে মমিনুল হক ৩৩, মুশফিকুর রহিম ২৫, ইমরুল কায়েস ১৭, লিটন দাস ১২, মেহেদি হাসান মিরাজ ৭, অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ-তাইজুল ইসলাম ৬ রান করে, মোস্তাফিজুর রহমান ৫, তামিম ইকবাল-আব্দুর রাজ্জাক ২ রান করে এবং সাব্বির রহমান ১ রানে আউট হন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং শিবিরে মূলত একাই ধস নামান শ্রীলঙ্কার আকিলা ধনঞ্জয়া। সে একাই তুলে নেন বাংলাদেশর ৫ উইকেট এবং হেরাথ নেন ৪টি উইকেট।
এ জয়ে ১-০ ব্যবধানে টেস্টে সিরিজ জিতে নিল সফররত শ্রীলঙ্কা। সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ চট্টগ্রামে ড্র হয়েছিল। এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজেও পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পর পর ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করে নেয় শ্রীলিঙ্কা ক্রিকেট দল।