সিরিজের শেষ ও ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসের চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দিনের শেষ বেলায় ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করা বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনের প্রথমাংশেই গুটিয়ে যায়। বাকি ৬ উইকেটে মাত্র ৫৪ রান যোগ করে মাহমুদুল্লাহ-লিটন দাসরা। একমাত্র মিরাজ ৩৮ রানের অপরাজিত থাকলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিল আসা-যাওয়ার মাঝে। ফলে ২২২ রান করা শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস থেকেই ১১২ রানের লিড পেয়ে যায়।
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ১১২ রানে এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে সফররত শ্রীলঙ্কা এবং আরও ২০০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে দেশটি। তবে শ্রীলঙ্কার এ রান তুলতে বাংলাদেশের বোলারদের কাছে খোয়াতে হয়েছে ৮টি উইকেট।
বাংলাদেশকে ১১০ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনেই শুরু করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই কুশল মেন্ডিসকে (৭) ফিরিয়ে দেন রাজ্জাক।
মেন্ডিসের বিদায়ের পর উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে ব্যক্তিগত ২৮ রানে তাকেও থামিয়ে দেন তাইজুল। মিডল স্টাম্পে পিচ করা বল ডিফেন্স করার চেষ্টা করলে ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল লাগে স্টাম্পে।
এরপর গুনাথিলাকাকে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলের লাইন বুঝতে পারেনি বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। অফ স্টাম্পে সরে গিয়ে ডিফেন্স করার চেষ্টা করলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান ১৭ রানেই।
উইকেটে প্রায় থিতু হয়ে যাওয়া দিমুথ করুণারত্নেকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩২ রান করে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৫১ রানের একটি জুটি গড়েন দিনেশ চান্দিমাল আর রোশন সিলভা। দারুণ খেলতে থাকা চান্দিমালকেও ৩০ রানে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলে ফেরান মিরাজ।
এরপর ১০ রানে তাইজুলের শিকার হন নিরোশান ডিকভেলা। ৫৬তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানে মোস্তাফিজ। ওভারের দ্বিতীয় আর তৃতীয় বলে দিলরুয়ান পেরেরা (৭) আর আকিলা ধনঞ্জয়াকে (০) আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। তবে হ্যাটট্রিক বলটা আটকে দেন সুরাঙ্গা লাকমল।
পরের বলেই আরেকটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল মোস্তাফিজের। তবে স্লিপে থাকা সাব্বির রহমান ক্যাচ ফেলে দিলে বেঁচে যান লাকমল।