দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড । এই হারে ২০০২ সালের পর কিউইদের মাটিতে হোয়াইওয়াশ হলো ভারত এর আগে ১ম টেস্টে ১০ উইকেটে হারে কোহলিরা।
ক্রাইসচার্চ টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আগারওয়ালকে হারায় ভারত। এরপর পূজারা ও পৃথ্বি শাহ প্রতিরোধ গড়ে তুলে, তাদের দুইজনের জুটি থেকে আসে ৫০ রান । পৃথ্বি শাহ ও পূজারা ৫৪ রান করে আউট হলে কিউই বোলারদের বোলিং তোপে এরপর হনুমান বিহারী ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। ব্যাট ব্যর্থ ছিলেন অধিনায়ক কোহলি করেছিলেন মাত্র ৩ রান। জেমিনসনের ৫ উইকেট ,সাউদির ২ উইকেট ও বোল্টের ২ উইকেটে মাত্র ২৪২ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
ভারতের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে দারুণ শুরু করে লাথামও ব্লানডেল। দুইজনের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৬৬ রান। লাথাম ৫২ রানে ও ব্লানডেল ৩০ রানে বিদায় নিলে পথ হারাতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড। শেষদিকে জেমিনসন ৪৯ , ওয়াগনার ২১ ও গ্র্যান্ডহোম ২৬ রান করলে ২৩৫ রানে গিয়ে থামে কিউইদের ইনিংস। ৪ উইকেট নেন সামি , বুমরাহ ৩ , জাদেজা ২ ও উমেশ যাদব নেন ১ উইকেট।
১ম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসে এসেও ব্যর্থ ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই অংক ছুঁতে পেরেছে কেবল চার ব্যাটসম্যান। ২য় ইনিংসেও ব্যর্থ কোহলি করেছেন ১৪ রান। বোল্ট ৪ টি,সাউদি ৩ টি ও ১ টি করে উইকেট নেন ওয়াগনার ও গ্র্যান্ডহোম ।
জয়ের জন্য ১৩২ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে লাথাম ও ব্লানডেল । দুই জনের ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড । ৫২ রান করেন লাথাম ও ৫৫ রান করেন ব্লানডেল ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ২৪২
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৩৫
ভারত ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৯০/৬) ৪৬ ওভারে ১২৪ (পৃথ্বী ১৪, মায়াঙ্ক ৩, পুজারা ২৪, কোহলি ১৪, রাহানে ৯, উমেশ ১, বিহারি ৯, পান্ত ৪, জাদেজা ১৬*; সাউদি ১১-২-৩৬-৩, বোল্ট ১৪-৪-২৮-৪
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৩২) ৩৬ ওভারে ১৩২/৩ (ল্যাথাম ৫২, ব্লান্ডেল ৫৫,বুমরাহ ১৩-২-৩৯-২, উমেশ ১৪-৩-৪৫-১
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ী নিউ জিল্যান্ড
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: কাইল জেমিসন
প্লেয়ার অব দা সিরিজ: টিম সাউদি