টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। এ সেঞ্চুরিকে পরবর্তীতে ডাবলে রূপ দেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ৩১৮ বলে ২৮টি চারে ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩২১ বলে ২২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২০০ রান করেছিলেন মুশফিক। একই টেস্টের ওই ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুল ১৯০ ও নাসির হোসেন ১০০ রান করেছিলেন। তাদের তিনজনের ব্যাটে ভর করে ৬৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। যা এখনো বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রান। শেষ পর্যন্ত টেস্টটি ড্র হয়েছিল।
মুশফিকের দ্বিতীয় ডাবল-সেঞ্চুরিটি ২০১৮ সালের নভেম্বরে। দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটের অভিষেক টেস্টটি ১৫১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। হারের ক্ষত নিয়ে ও সিরিজে পিছিয়ে পড়ে ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪২১ বলে ১৮টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২১৯ রান করেন মুশফিক। ইনিংসে মমিনুল ১৬১ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ করেছিলেন অপরাজিত ১০১ রান। শেষ পর্যন্ত ২১৮ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ডাবল-সেঞ্চুরির পর ১০ ইনিংস খেলেও সেঞ্চুরির ধারে কাছেও যেতে পারেননি মুশফিক। সর্বোচ্চ রান ছিল ৭৪। কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে করেছিলেন ওই স্কোর। একই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই ডাবল-সেঞ্চুরির পর সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সেঞ্চুরি পেয়ে তা ডাবলে রূপ দিলেন মুশফিক।
মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির পর তৃতীয় দিনের খেলা ৫ ওভার বাকি থাকতে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি, অধিনায়ক মমিনুল হকের সেঞ্চুরি, নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ৫৬০ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ২৯৫ রান।