অধিনায়ক মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ভালো অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ২৪০ রান করায় ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথম দিন (শনিবার) ৬ উইকেটে ২২৮ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। ১০৭ রান করেছিলেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের দুই বোলার আবু জায়েদ ও তাইজুল ইসলামের তোপে পড়ে ২৪৫ রানেই নবম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৮ রান করা তিরিপানো ও আইনসলে এনডলোভুকে শূন্য রানে বিদায় দেন আবু জায়েদ। চার্লটন টিসুমাকে শূন্য রানে থামান তাইজুল। এ ম্যাচে এটিই তার প্রথম উইকেট ছিল।
শেষ উইকেটে ভিক্টর নায়ুচিকে নিয়ে ২০ রানের জুটি গড়েন চাকাবা। এক প্রান্ত আগলে রাখা চাকাবাকে শিকার করে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন তাইজুল। ৩টি চারে ৭৪ বলে ৩০ রান করেন চাকাবা। দ্বিতীয় দিন বাকি ৪ উইকেটে আরও ৩৭ রান যোগ করতে পারে জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে ২১ রানই ছিল চাকাবার। বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ ও স্পিনার নাঈম হাসান ৪টি করে উইকেট নেন। প্রথম দিনই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নাঈম। ২টি উইকেট শিকার করেন তাইজুল।
জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষে মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে ব্যাট হাতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম তিন ওভারে ২টি করে চার মারেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। তবে চতুর্থ ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। ১২ বলে ৮ রান করা সাইফকে বিদায় দেন জিম্বাবুয়ের পেসার ভিক্টর নায়ুচি।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন তামিম। দেখেশুনে খেলে দলের স্কোরকে বড় করেছেন তারা। দলের স্কোর শতরানের কাছাকাছি নিয়ে যান তারা। কিন্তু দুভার্গ্য তামিমের। দলকে শতরানের স্পর্শ দেওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নমুখী হন এ বাঁ-হাতি।
৭টি চারে ৪১ রান করে জিম্বাবুয়ের পেসার ডোনাল্ড ত্রিপানোর শিকার হন তামিম। তখন দলের স্কোর ৯৬ রান। শান্তর সাথে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তামিম।
শান্ত ও অধিনায়ক মমিনুল হকও তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় রান এনে দেন। আর এ জুটিতেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পেয়ে যান শান্ত। ১০৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছে নিজের ইনিংসটি বড় করেছেন শান্ত। তবে ৭১ রানে থামতে হয় তাকে। জিম্বাবুয়ের পেসার চার্লটন টিসুমার বাইরের বলে খোচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শান্ত। ৭টি চারে ১৩৯ বলে ৭১ রান করেন তিনি। মমিনুলের সাথে ৭৬ রান যোগ করেন শান্ত।
শান্তর বিদায়ে ক্রিজে মমিনুলের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। এ জুটি অবিচ্ছিন্ন ৬৮ রান করে দিন শেষ করেন। ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭৯ রানে অপরাজিত অধিনায়ক মমিনুল। ১২০ বল খেলে ৯টি চার মারেন মমিনুল। অন্যদিকে ৬৮ বলে ৬টি চারে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের ত্রিপানো-নায়ুচি-টিসুমা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।