মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরির পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সফল ছিলেন স্পিনার নাইম হাসান। ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে বল হাতে ৬৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সফলতার রহস্য হিসেবে নাঈম জানান তিন মন্ত্রের কথা, তা হলো- ধৈর্য্য, টানা বল করা এবং সঠিক লাইন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক স্পেলে টানা ৩২ ওভার বল করেছেন নাঈম। যা চোখে পড়েছে সবার। কোন বাংলাদেশি বোলার টানা এত বেশি বল করতে পারেননি। কারণ, এ জন্য ধৈর্য্য, একাগ্রতা ও উন্নত ফিটনেসের দরকার পড়ে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে টানা বল করার অভ্যাস রয়েছে নাঈমের। আর সেখান থেকেই উপকৃত হয়েছেন তিনি। শনিবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নাঈম বলেন, ‘এনসিএল টানা বল করার অভ্যাস করেছি আমি। যদি আপনার ধৈর্য্য থাকে, টানা বল করতে পারেন এবং সঠিক লাইনে বল করতে পারেন। তবে সাফল্য আসবেই।’
সঠিক লাইনে বল করারই নাঈমের প্রধান লক্ষ্য ছিল বলেও জানান। বলেন, ‘উইকেট যেমনই হোক, আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল সঠিক লাইনে বল করা, আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি টানা স্পেলে বল করতে। সঠিক লাইনে বল করা ছাড়া আমি অন্য কোন পরিকল্পনা করিনি।’
এনসিএলে ২১ উইকেট শিকারে আত্মবিশ্বাস বাড়ে নাঈমের। এমনটাই বললেন তিনি, ‘আমি এনসিএল প্রচুর ওভার বল করেছি এবং ২১ উইকেট শিকার করেছি। আমি খেলার মধ্যে ছিলাম, যা আমাকে টেস্টে ভালো করতে সহায়তা করেছে।’
উইকেট থেকে কোন টার্নিং পাননি নাঈম। বলেন, ‘উইকেট স্পিনিং ছিল না। এটি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। অন্যপ্রান্ত দিয়ে তাইজুল ভালো করেছে। তাই আমি উইকেট পেয়েছি। রোববার যদি আমি এ পাশ থেকে ডট বল দেই তাহলে তাইজুল উইকেট পাবে।’
পুরো দিনের মধ্যে দিনের শেষ ভাগে বড় ধরনের সাফল্য পায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়েকে খেলায় রাখা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন নাঈম। আরভিনের ব্যাপারে নাঈম বলেন, ‘আমাদের তার উইকেট দরকার ছিল। প্রথম দিনই তার উইকেট শিকার করতে চেয়েছিলাম আমরা। তাই তার উইকেটটি আমাদের অনেক বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে। ইউটিউবে তার ব্যাটিং ধরন দেখেও ধারণা নেয়া হয়েছিল কিভাবে বল করতে হবে।’