নিয়মিত অধিনায়ক সিন উইলিয়ামস না থাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়েকে সিরিজের একমাত্র টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন ক্রেইগ আরভিন। বাংলাদেশে নিয়মিত সফরের কারণে নতুন দায়িত্বের সুযোগে আত্মবিশ্বাসীও তিনি। বললেন, ঘরের মাঠে খেলার কারণে সিরিজের একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশই চাপে থাকবে।
প্রথম টেস্টের আগে শুক্রবার আরভিন বলেন, ঘরের মাঠে সব সময়ই স্বাগতিকরা চাপ অনুভব হয়ে থাকে। অবশ্যই সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে আরও বেশি চাপে থাকবে। কিন্তু আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে, আমাদের পরিকল্পনা ও শক্তি নিয়ে। টেস্টে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া চলবে না।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ টেস্টে খুব বাজে সময় পার করছে। তবে অবশ্যই নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ অনেক বেশি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে এ কন্ডিশন আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। কারণ, অতীতে এখানে আমরা সফর করেছি। তাই এটি আমাদের কাছে বিদেশের মাটি নয়। টেস্টে ভালো প্রতিন্দ্বন্দিতা হবে।
সম্প্রতি দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে জিম্বাবুয়ে। লড়াই করে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছে তারা। ২০১৮ সালের বাংলাদেশ সফরে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে।
আরভিন বলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের ভালো একটি সিরিজ ছিল। আমরা দু’টি ম্যাচ খেলেছি, দু’টিই পাঁচদিনে গড়ায়। ওই সিরিজ থেকে আমরা মোমেন্টাম অর্জন করেছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্টে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।
আইসিসি থেকে খেলার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর জিম্বাবুয়ে পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। বাংলাদেশ থেকে নিজেদের যাত্রা শুরু করতে চায় তারা।
তিনি বলেন, এটি পুনর্নির্মাণের দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা এখনই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। দলে তরুণ খেলোয়াড় আনতে হবে এবং পুল থেকে খেলোয়াড়দের তৈরি করতে হবে। ভালো জায়গায় ফিরতে এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। বছরে যথেষ্ট টেস্ট ম্যাচ দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
সদ্য খেলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের পারফরমেন্স দলকে উজ্জীবিত করছে বলে জানান কোচ লালচাঁদ রাজপুত। তিনি বলেন, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। শ্রীলঙ্কারও ভালো স্পিন অ্যাটাক ছিল এবং আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশ স্পিন উপযোগী উইকেট তৈরি করবে এবং এ জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে সিলেটে মাটিতে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে ঢাকায় পরের টেস্ট জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করতে পারে বাংলাদেশ। সিলেটের ওই টেস্টটি এখন স্মৃতি। সামনের টেস্ট নিয়ে ভাবতে চান রাজপুত।
তিনি বলেন, প্রতিটি টেস্ট উইকেট ভিন্ন হয়ে থাকে। ২০১৮ সালে সিলেটে জয় এখন ইতিহাস। ঘরের মাঠে দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলার পর আমরা ঐ টেস্টটি খেলেছিলাম। খেলোয়াড়দের এখন বেশি খেলার সময় এবং আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, খুব ভালো প্রতিন্দ্বন্দিতা হবে। অধিনায়ক বলেছে, নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ অনেক বেশি শক্তিশালী। এটি সত্যিই। কিন্তু আমরা প্রস্তুত এবং আমরা আমাদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছি।