স্বপ্ন দেখতেন তামিম ইকবালের সাথে ব্যাট হাতে ওপেনিং করবেন। সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তবে সাফল্যের দেখা পাননি বাংলাদেশ দলের তরুণ ওপেনার সাইফ হাসান। তাই এবার টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য আরও বেশি মনোযোগী হতে চান তিনি।
ঘরোয়া আসরে বড় ইনিংস খেলার খ্যাতি রয়েছে সাইফের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে নিজেকে পুরোপুরিভাবে মেলে ধরতে পারেননি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই বলে শূন্য রানে আউট হন সাইফ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ বলে করেন ১৬ রান।
অভিষেক ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে সাইফ মনে করছেন আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য অর্জনে নিজের উইকেটের গুরুত্ব বাড়ানোর প্রয়োজন। একই সাথে সাইফ বুঝতে পেরেছেন একজন সফল টেস্ট ব্যাটসম্যান হতে হলে অনুশীলন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং সে উপায়ও তিনি পেয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলন শেষে সাইফ বলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও দ্বিতীয় ইনিংসে আমি ভালো বোধ করছিলাম, দুভার্গ্যক্রমে বল নিচু হয়ে গিয়েছিল। আমি যা বুঝতে পারলাম, আমার ফোকাস লেভেলে ঘাটতি ছিল। আমি আরও ভালোভাবে বলটি খেলতে পারতাম। বুঝতে পারলাম এখানে সফল হওযার জন্য আমার মনোযোগ বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনুশীলন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। যখন আমি নেটে ব্যাট করব, আউট হওয়া থেকে আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। যদি আমি নেটে সেশনে এটি অভ্যাস করতে পারি তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটি অনেক উপকারে আসবে।’
সাইফ বলেন, ‘তাই আমি যখনই নেট সেশন করতে আসি, আমি চেষ্টা করেছি নতুন বলে আউট না হতে এবং যতটা পেরেছি আমি বল খেলেছি। আমি নেটে সেশন বাই সেশন খেলার চেষ্টা করেছি এবং এভাবেই অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছি।’
সাইফ ভালোভাবেই জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত হতে হলে দ্রুতই যেকোন উপায়ে সফল হতে হবে। তামিম ছাড়া ওপেনিং কোন ব্যাটসম্যানই নিজের জায়গাটি পাকাপোক্ত করতে পারেননি। তাই নির্বাচকরা বাধ্য হয়েই ওপেনিংএ বারবার পরিবর্তন আনেন।
তিনি বলেন, ‘শৈশব থেকেই তামিমের সাথে ওপেনিং করার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তবে এখন ক্যারিয়ার দীর্ঘ করার সময় এসেছে। আমি জানি, যদি আমি ভালো খেলতে না পারি, তবে সুযোগ পাব না।’
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ যখন হতাশার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে ঠিকই তখনই দলে আসেন সাইফ। টানা ছয় টেস্টে হেরেছে দল। এর মধ্যে পাঁচটিই ইনিংস ব্যবধানে হার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে জয় দিয়ে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে বাংলাদেশ দল বদ্ধপরিকর।
সাইফ বলেন, ‘জিম্বাবুয়েকে ছোট ভাবার কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দিয়ে থাকে। তবে যে দলই হোক না কেন আমাদের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর আমরা এক সাথে বসেছিলাম এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে আমাদের কিছু করতে হবে। ভালো করার জন্য আমাদের কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারব।’