বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাদ দেয়া হয়নি, বিশ্রামে রাখার লক্ষ্যে টেস্ট দলের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
সর্বশেষ ১০ ইনিংসে রিয়াদ শুধুমাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। সর্বশেষ দুই টেস্টে তিনি যেভাবে আউট হয়েছেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সবাইকে ব্যথিত করছেন।
এদিকে সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহকে দলে না থাকলেও চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) খেলবেন বলেও জানান প্রধান নির্বাচক।
রোবাবর টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণার সময় নান্নু বলেন, ‘এ টেস্টে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজেদের মাটিতে এ খেলার সময় নতুন কিছু খেলোয়াড়কে সুযোগ দেব। পাকিস্তান সফরকারী টেস্ট দলেও আমরা সেই সুযোগ দিয়েছি। আমরা দীর্ঘ ফরমেটের ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদেরকে সুযোগ দিতে চাই।’
টিম ম্যানেজমেন্ট মাহমুদউল্লাহকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর দিয়ে শুধু মাত্র সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে যুক্ত করতে চান বলে গুজব রয়েছে। তবে নান্নু জানান, এ ধরনের কোন আলোচনা মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে হয়নি।
তিনি বলেন, ‘তার (মাহমুদউল্লাহর) সঙ্গে এ রকম কোন কথা হয়নি। আমরা তার সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সুতরাং আমরা জানি কী কথা হয়েছে। এখানে ভুল বুঝাবুঝির কোন সুযোগ নেই।’
নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি দুজন নতুন মুখ ইয়াসির আলী চৌধুরী ও হাসান মাহমুদকে টেস্ট স্কোয়াডে যুক্ত করেছে। তবে মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে ইয়াসিরকে স্কোয়াড ভুক্ত করার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
নান্নু বলেন,‘ ইয়াসির আমাদের হাই পারফর্মেন্সের (এইচপি) খেলোয়াড়। দীর্ঘ ফরমেটের ক্রিকেটের জন্য তাকে গড়ে তোলা হয়েছে। এনসিএলে সে ভালো করেছে। সর্বশেষ বিসিএলেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। সুতরাং নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে সে ভবিষ্যতে আরও সুযোগ পাবে।’
হাসান মাহমুদ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা এমন একজন পেসার চাচ্ছিলাম, যিনি ১৪০ কিলোমিটারের অধিক গতিতে বল করতে পারে। হাসান মাহমুদ হচ্ছে সেই ধরনের বোলার। সে আমাদের নজরে ছিল। তবে তখন সে ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। তাই তাকে দলভুক্ত করিনি। সম্প্রতি সে সত্যিই ভালো খেলতে শুরু করেছে। তাই এখন তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’