প্রথমবারের মত সন্তানের বাবা হচ্ছেন জিম্বাবুয়ের নিয়মিত অধিনায়ক সিন উইলিয়ামস। ফলে বাংলাদেশ সফরে একমাত্র টেস্টে খেলবেন না তিনি। তার পরিবর্তে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রেইগ আরভিন।
এদিকে টেস্টে না খেললেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবেন উইলিয়ামস। ফলে ১৫ সদস্যের টেস্ট দলে আরভিনকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।
ইনজুরির কারণে টেস্ট দলে সুযোগ পাননি জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জার্ভিস ও তেন্দাই চাতারা। গত জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ইনজুরির শিকার হন তারা। দুই পেসারের পরিবর্তে বোলার ক্রিস এমপফুকে দলে নেওয়া হয়েছে।
দুই বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট দলে ফিরলেন এমপফু। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় চারদিনের গোলাপি বলের টেস্টে সর্বশেষ বড় ফরম্যটে খেলেছিলেন তিনি।
টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছেন এমপফু। সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে আবারও দলে ফিরলেন তিনি।
গত তিন মাসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩ ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এর মধ্যে এক ম্যাচে ১১ উইকেট শিকারও রয়েছে তার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বল হাতে ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার রয়েছে এমপফুর। ২০০৫ সালে টেস্ট অভিষেকের পর ১৫ ম্যাচে ২৯ উইকেট শিকার রয়েছে তার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ হওয়া সিরিজের দুই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে মাথায় বলের আঘাতে পান ওপেনার কেভিন কাসুজা। ফলে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি তিনি।
ঢাকার উদ্দেশে শুক্রবার দেশ ছাড়বে জিম্বাবুয়ে। ঢাকায় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট। তার আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দু’দিনের একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে। টেস্ট ম্যাচ শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দু’ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ১ মার্চ থেকে ওয়ানডে সিরিজ এবং ৯ মার্চ থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে।
জিম্বাবুয়ে টেস্ট দল
ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাবা (উইকেটরক্ষক), কেভিন কাসুজা, তিমিসেন মারুমা, প্রিন্স মাসভাউরি, ক্রিস্টোফার এমপফু, ব্রায়ান মুদজিনগানিয়ামা, কার্ল মুম্বা, তিনোতেন্দা মুতোম্বোজি, আইনসলে এনডলোভু, ভিক্টর নায়ুচি, ব্রেন্ডন টেলর, ডোনাল্ড ত্রিপানো ও চার্লটন টিসুমা।