টেস্ট অভিষেকে ডাক মারার রেকর্ডে নাম লেখালেন টাইগার তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ সাইফ হাসান। টাইগারদের এই দলে এর আগে নাম লিখিয়েছেন ২১ জন। মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল শান্ত এবং জহুরুল ইসলামের পর এবার এ তালিকায় নাম যুক্ত করলেন তিনি।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংস তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাইফ। তবে পাকিস্তানি পেসারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।
শাহিন আফ্রিদির করা নিজের মোকাবেলা করা দ্বিতীয় বলেই আত্মহুতি দেন টাইগারদের ভবিষ্যৎ তারকা হওয়ার আভাস দেওয়া এ ক্রিকেটার। এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলা স্পিনার ইলিয়াস সানি, পেসার কামরুল রাব্বি, খালেদ মাহমুদ, শুভাশিষ রায়রা অভিষেক টেস্টে ডাক মারার রেকর্ডে নাম তুলেছেন।
অভিষেক টেস্টে ডাক মারার তালিকায় আছে সাইদ আনোয়ার, অ্যালান ডোনাল্ডের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তির নাম। এলগার, গুচ, ইমতিয়াজ আহমেদরাও অভিষেক টেস্টে রান না করে সাজঘরে ফিরেছেন।
তবে সাইফের শূন্য রানের ইনিংসটা আক্ষেপ তৈরি করবে অন্য জায়গায়। টেস্ট ক্রিকেটে যেখানে টেকনিকের খেলা সেখানে সাইফ খুবই দৃষ্টিকুটভাবে আউট হয়েছেন। শাহিন আফ্রিদির ফুল লেন্থের বলটা তিনি ফুট ওয়ার্ক ছাড়াই আলতো করে ড্রাইভ খেলার চেষ্টা করেন। বল সামান্য সুইং করে ব্যাটের কানা ঘেষে চলে যায় স্লিপ ফিল্ডারের হাতে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৩৮ ম্যাচে ৪টি সেঞ্চুরি ও ১২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৩৩৬ রান করেছেন সাইফ। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অপরাজিত ২২০। ব্যাটিং গড়- ৪৫ দশমিক ৮০। মাঝে-মাঝে বল হাতে অফ-স্পিনও করেন সাইফ। ঝুলিতে ৭ উইকেট রয়েছে তার।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন সাইফ। ইস্ট জোনের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ৫৮ ও ৩৩ রান করেন তিনি।