ক্যারিয়ারের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই বিশ্ব ক্রিকেট তারকাদের কাতারে স্থান করে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। দুই হাতের ক্যারিশমায় ১১০তম স্থান থেকে একেবারেই ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের চতুর্থ স্থানে উঠে গিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১১০৪ রান করেন লাবুশেন। তান্মধ্যে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তার সংগ্রহ ছিল ৮৯৬ রান। যার মাধ্যমে স্বদেশি নেইল হার্ভেকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। গ্রীষ্মকালীন পাঁচ টেস্টে ৮৩৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন নেইল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করা ২৫ বছর বয়সী এ তারকা এখন ক্রিকেট অভিজাতদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে এখন তার উপরে রয়েছেন কেবল বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ ও কেন উইলিয়ামসন।
গত সপ্তাহে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাকানোর পর লাবুশেন বলেন, ‘থামার কোন ইচ্ছে আমার নেই। গ্রীষ্মে বাকি যেটুকু সময় আমি পাব তাতে এর প্রতিফলন থাকবে। এটি আমার জন্য খুবই স্পেশাল একটি গ্রীষ্ম। তবে সত্যিকার অর্থে আমার কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এ দলের সঙ্গে খেলতে পারা।’
গত আগস্টে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ সিরিজে কঙ্কাশন সাব হিসেবে খেলার সুযোগ না পেলে লাবুশেনের এ প্রতিভা হয়তো অনাবিস্কৃতই থেকে যেত। লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চারের বলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান স্মিথ আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নতুন নিয়মে বদলী হিসেবে খেলার সুযোগ পান লাবুশেন।
প্রাপ্ত সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যাবহার করেন তিনি। তুলে নেন পরপর চারটি হাফ সেঞ্চুরি। অ্যাশেজ সিরিজে ৫০.৪২ গড়ে তিনি সংগ্রহ করেন ৩৫৩ রান। যা তুলনামূলক বিচারে স্মিথের চেয়েও ভালো।
অ্যাশেজে যদি সুযোগ না পেতেন তাহলে লাবুশেন হয়তো অস্ট্রেলীয় গ্রীষ্মে এভাবে কাপিয়ে দিতে পারতেন না। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দু’টি সেঞ্চুরি হাঁকানো লাবুশেন ১৭৩.৫০ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৩৪৭ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেকে আরেকটি স্তরে পৌঁছে দিলেন তিনি।
সিডনিতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে টেস্টে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১৫ রান সংগ্রহের আগে পার্থে ১৪৩ রান করেছিলেন তিনি।