নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনি টেস্টের প্রথম দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। সেই সেঞ্চুরিকে দ্বিতীয় দিন ডাবলে রূপ দিলেন তিনি। লাবুশেনের ডাবল-সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৫৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বিপরীতে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৬৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। তাই ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৯১ রানে পিছিয়ে রয়েছে কিউইরা।
নতুন বছরের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই অপরাজিত ১৩০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন লাবুশেন। ফলে প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৮৩ রান করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। লাবুশেনের সাথে ২২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ম্যাথু ওয়েড।
শনিবার দ্বিতীয় দিনে ২২ রানেই ওয়েডকে থামিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনার উইলিয়াম সমারভিল। দিনের ষষ্ঠ বলে ওয়েডের আউটের পর লাবুশেনের সঙ্গী হন অধিনায়ক টিম পাইন। এ সেশনে আর কোন উইকেটের পতন না হওয়ায় ৫ উইকেটে ৩৫৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। লাবুশেন ১৮১ রান নিয়ে বিরতিতে যান।
বিরতি থেকে ফিরে ১৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন লাবুশেন। নিউজিল্যান্ডের কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে বাউন্ডারি মেরে ৩৪৬ বলে ডাবল-সেঞ্চুরিতে পা রাখেন টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম কনকাশন সাব।
লাবুশেনের ডাব-সেঞ্চুরির পর বিদায় নেন ৩৫ রান করা পাইন। কিছুক্ষণ বাদে থামতে হয় লাবুশেনকেও। ১৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬৩ বলে ২১৫ রান করেন লাবুশেন। শেষ দিকে পেসার মিচেল স্টার্কের ২১ বলে ২২ রান অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। ৪৫৪ রানে শেষ হয় অসিদের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ডহোম-ওয়াগনার ৩টি করে উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষে ব্যাট হাতে নেমে ২৯ ওভার খেলতে পারেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম লাথাম ও টম ব্লান্ডেল। দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন থেকে যান তারা। লাথাম ২৬ ও ব্লানডেল ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে)
অস্ট্রেলিয়া : ৪৫৪/১০, ১৫০.১ ওভার (লাবুশেন ২১৫, স্মিথ ৬৩, ওয়াগনার ৩/৬৬)
নিউজিল্যান্ড : ৬৩/০, ২৯ ওভার (ব্লান্ডেল ৩৪*, লাথাম ৩৬*)।