নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনি টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করলেন অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। নতুন বছরের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই অপরাজিত ১৩০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছেন তিনি। এর ফলে প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৮৩ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন মার্নাস লাবুশেন। দ্বিতীয় টেস্টে করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। আর তৃতীয় টেস্টে এসে আবারও সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় অসিরা। ওপেনার জো বার্নসকে ১৮ রানে থামিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এরপর আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে জুটি বাঁধেন লাবুশেন।
দলের স্কোর সামনের দিকে টেনে নিয়ে যান তারা দু’জন। তবে দলীয় স্কোর একশতে পৌঁছানোর আগেই বিচ্ছিন্ন হন ওয়ার্নার ও লাবুশেন। ইনফর্ম পেসার নিল ওয়াগনারের শিকার হয়ে ৪৫ রানে আউট হন ওয়ার্নার।
দলীয় ৯৫ রানে ওয়ার্নার ফিরলে ক্রিজে লাবুশেনের সঙ্গী হন স্মিথ। দু’জনে অবিচ্ছিন্ন থেকে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেন। ২ উইকেটে ১৮২ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। বিরতি থেকে ফিরে ইনিংসের ৭২তম ওভারে বাউন্ডারির সহায়তায় ১৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন লাবুশেন।
সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েও দলের ও নিজের ইনিংসটি বড় করছিলেন লাবুশেন। তার সাথে তাল মিলিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন স্মিথ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬৩ রানে থেমে যান স্মিথ। গ্র্যান্ডহোমের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৯তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ১৮২ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার মারেন স্মিথ। তৃতীয় উইকেটে স্মিথ-লাবুশেন ১৫৬ রানের জুটি গড়েন।
স্মিথ ফিরে গেলে ম্যাথু ওয়েডকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টুকুতে আর কোন বিপদ হতে দেননি লাবুশেন। ফলে ভালো অবস্থায় থেকে প্রথম দিন শেষ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১০ বলে অপরাজিত ১৩০ রান করেন লাবুশেন।
ওয়েড অপরাজিত আছেন ২২ রানে। নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ডহোম ২টি ও ওয়াগনার ১টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
অস্ট্রেলিয়া : ২৮৩/৩, ৯০ ওভার (লাবুশেন ১৩০*, স্মিথ ৬৩, গ্র্যান্ডহোম ২/৬৩)।