মেলবোর্নে বক্সিং ডে’টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানেই অলআউট করে দিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৬৭ রান করেছিল অসিরা। তবে নিউজিল্যান্ডকে ফলো-অন না করিয়ে নিজেরাই ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ৩১৯ রানের লিডকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান করেছে। ফলে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৪৫৬ রানের বড় লিডে অসিরা।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট হাতে নামে নিউজিল্যান্ড। ২ উইকেট ৪৪ রান তুলে দিন শেষ করে কিউইরা। ওপেনার টম লাথাম ৯ ও রস টেইলর ২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসারের তোপে পড়ে মাত্র ১৪৮ রানেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। লাথাম ছাড়া কোন ব্যাটসমস্যানই অসি তিন পেসার প্যাট কামিন্স-জেমস প্যাটিনসন ও মিচেল স্টার্কের বিপক্ষে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। লাথাম ৪টি চারে ১৪৪ বলে ৫০ রান করে ফিরেন। লাথামের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৮ রান করেন দশ নম্বর ব্যাটসম্যান নিল ওয়াগনার। এছাড়া ওপেনার টম ব্লান্ডেল ১৫, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১১ ও টিম সাউদি ১০ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স ২৮ রানে ৫ উইকেট নেন। ২৯ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মত পাঁচ উইকেটের স্বাদ নিলেন কামিন্স। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম। এছাড়া প্যাটিনসন ৩টি ও স্টার্ক ২টি উইকেট নেন।
চা-বিরতির আগেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এরপর নিজেদের ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা ভালোই ছিল অসিদের। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নস ৬২ রানের জুটি গড়েন। ৩৮ রান করা ওয়ার্নারকে শিকার করে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ওয়াগনার।
এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করতে থাকেন বার্নস। তবে দলীয় ১০০ রানে বিচ্ছিন্ন হন তারা। এরপর ১১০ রানের মধ্যে আরও ২ উইকেট হারায় অসিরা। বার্নস ৩৫, লাবুশানে ১৯ ও স্টিভেন স্মিথ ৭ রান করে আউট হন। তাদের বিদায়ের পর দিন শেষে ম্যাথু ওয়েড ১৫ ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড ১২ রানে অপরাজিত আছেন। নিউজিল্যান্ডের ওয়াগনার ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ৪৬৭ ও ১৩৭/৪, ৪৫ ওভার (ওয়ার্নার ৩৮, বার্নস ৩৫, ওয়াগনার ২/৩৯)
নিউজিল্যান্ড : ১৪৮/১০, ৫৪.৫ ওভার (লাথাম ৫০, ওয়াগনার ১৮*, কামিন্স ৫/২৮)।