মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বক্সিং ডে’টেস্টের প্রথম দিন ৪ উইকেটে ২৫৭ রান করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দলের পক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন। লাবুশেন ৬৩ রানে থামলেও ৭৭ রানে অপরাজিত আছেন স্মিথ।
ঐতিহাসিক বক্সিংডে’টেস্টে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সিরিজে প্রথমবারের মত সিরিজে বল হাতে নিয়েই নিউজিল্যান্ডকে সাফল্য এনে দেন বাঁ-হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। সাইড স্ট্রেইন ইনজুরির কারণে পার্থে প্রথম টেস্টে খেলতে না পারা এ পেসার প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ওপেনার জো বার্নসকে বোল্ড করেন । শূন্য রানে ফিরেন বার্নস।
তিন নম্বরে নামা লাবুশেনকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ৬০ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। ব্যক্তিগত ৪১ রানে ওয়ার্নারকে বিদায় দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন বাঁ-হাতি পেসার নিল ওয়াগনার। ৬৪ বলের ইনিংসে ৩টি চার মারেন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর স্মিথকে নিয়ে দলের ইনিংস বড় করতে থাকেন লাবুশেন। ১৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন লাবুশেন। অর্ধশতকের স্বাদ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে বোল্ড হন লাবুশেন। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৯ বলে ৬৩ রান করেন লাবুশেন। তৃতীয় উইকেটে ৮৩ রান যোগ করেন লাবুশেন-স্মিথ।
দলীয় ১৪৪ রানে লাবুশেন ফিরলে ক্রিজে স্মিথের সঙ্গী হন ম্যাথু ওয়েড। ভালো শুরু করেও ৩টি চারে ৭৮ বলে ৩৮ রান করে গ্র্যান্ডহোমের দ্বিতীয় শিকার হন ওয়েড। ওয়েডকে নিয়ে ৭২ রান যোগ করার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন স্মিথ।
ওয়েড যখন বিদায় নেন তখন দিনের ১৬ দশমিক ৩ ওভার খেলা বাকি। ট্রাভিস হেডকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টুকু পার করে দেন স্মিথ। ১৯২ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৭ রানে অপরাজিত আছেন স্মিথ। ৭১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ২৭তম সেঞ্চুরির লক্ষ্যে শুক্রবার মাঠে নামবেন স্মিথ।
অন্যদিকে ৫৬ বলে ৩টি চারে ২৫ রানে ফরাজিত আছেন হেড। বল হাতে নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ডহোম ৪৮ রানে ২ উইকেট নেন।
পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ২৯৬ রানে হারিয়েছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অসিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
অস্ট্রেলিয়া : ২৫৭/৪, ৯০ ওভার (স্মিথ ৭৭*, লাবুশেন ৬৩, গ্র্যান্ডহোম ২/৪৮)।