কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধন ও উপভোগ করে আরও একবার বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজের দিবা-রাত্রির ও দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে তিনি উদ্বোধন করেন।
২০০০ সালের নভেম্বরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই ভারতের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে। সে সময় বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ঐতিহাসিক সেই টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধন করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি সে সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেন।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সময় ১২টা ৫৫ মিনিটে ইডেন গার্ডেনে ঘণ্টা বাজিয়ে ঐতিহাসিক গোলাপী বলের প্রথম টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধন করেন। এর আগে শেখ হাসিনা টসের জন্য বিশেষ গোলাপী কয়েন এবং গোলাপী ম্যাচ বল সংশ্লিষ্ট দলের অধিনায়ক এবং আম্পায়ারদের হাতে তুলে দেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী টেস্টের ভেন্যু ইডেন গার্ডেনে গিয়ে পৌঁছালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি তাকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মাঠে প্রবেশ করে একটি ছাতার নিচে একত্রে কিছুক্ষণের জন্য বসেন। এরপর শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দোপাধ্যায় মাঠে প্রবেশ করেন এবং উভয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন।
মাঠে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই গ্যালারি ভর্তি হাজারও দর্শক তুমুল করতালির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানায়। তিনিও হাত নেড়ে করতালির জবাব দেন। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক নিজ নিজ খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।